সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০ বছরের তরুণীকে বাপের বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়ে গিয়েছিল শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। অভিযোগ ছিল, বিয়ের পরেও নিজের প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে তাঁর। এই নিয়ে বচসার জেরে শেষ পর্যন্ত নিজের মেয়েকে গুলি করে খুনের ঘটনায় (Murder) কাঠগড়ায় বাবা। তারপর থানায় ফোন করে সে কথা জানিয়ে আত্মসমর্পণও করে ওই ব্যক্তি। এমনই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) জয়সিংপুর।
পুলিশের কাছে অভিযুক্ত চন্দ্রমোহন সিং জানিয়েছে, কিছুদিন আগেই কানপুরের নগেন্দ্র সিংয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মেয়ে স্বাতীর। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই পরকীয়ার অভিযোগ তুলতে থাকে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। শেষ পর্যন্ত গত বৃহস্পতিবার স্বাতীকে ফিরিয়ে দিয়ে যায় তারা। তারপর থেকেই মেয়ের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু হয় চন্দ্রমোহনের। কিন্তু মেয়ে কোনও ভাবেই নিজের প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টানতে রাজি হয়নি। এরপরই নিজের লাইসেন্সড বন্দুক থেকে পরপর তিনটি গুলি চালায় চন্দ্রমোহন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় স্বাতীর।
[আরও পড়ুন: কৃষি আইন নিয়ে লাগাতার প্রতিবাদের মাঝে আত্মহত্যা, দিল্লি সীমানায় বিষ খেয়ে আত্মঘাতী এক কৃষক]
হত্য়াকাণ্ডের পর সে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ফোন করে সব জানিয়ে দেয়। পরে পুলিশের জন্য অপেক্ষা না করেই নিজের স্কুটার চালিয়ে সটান স্থানীয় থানায় পৌঁছেও যায়। সেখানেই গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। পুলিশ জানিয়েছে, চন্দ্রমোহনের দাবি, মেয়েকে নিয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল সে। ওইদিনের অশান্তির পরে আর থাকতে না পেরে শেষমেশ গুলি চালিয়ে মেয়েকে খুন করেছে। স্বাতীর দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে চন্দ্রমোহনের কাছে থাকা বন্দুকটিও। এদিকে ঘটনার পর থেকে খোঁজ মিলছে না স্বাতীর মা ও ভাইয়ের। তাঁদের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে চন্দ্রমোহনকে। তবে বাবার হাতে মেয়ের এভাবে খুন হওয়া নিয়ে জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে চারপাশে।