সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এশিয়া কাপে (Asia Cup 2023) পাকিস্তান (Pakistan) ও শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) বিরুদ্ধে হাইভোল্টেজ ম্যাচ তিনি ড্রেসিংরুমে বসে দেখতে বাধ্য হয়েছিলেন। শুধু নেপাল (Nepal) ও বাংলাদেশের (Bangladesh) মতো দুর্বল দলের বিরুদ্ধে মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছিলেন মহম্মদ শামি (Mohammed Shami)। জশপ্রীত বুমরাহ (Jasprit Bumrah) এই দলে অটোমেটিক চয়েস। তবে মহম্মদ সিরাজকে (Mohammed Siraj) জায়গা করে দেওয়ার জন্য শামিকে বাইরে রাখতে বাধ্য হয়েছিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) ও হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid)। তাই বলে তো চ্যাম্পিয়নদের দাবিয়ে রাখ যায় না। তিনি বাইশ গজে কেমন ঝড় তুলতে পারেন সেটা অস্ট্রেলিয়ার (Australia) বিরুদ্ধে প্রথম একদিনের ম্যাচে বুঝিয়ে দিলেন। বিশ্বকাপের (ICC ODI World Cup 2023) আগে জ্বলে ওঠে নিলেন ৫১ রানে ৫। আর এরপরেই ধারাভাষ্যকারদের খোঁচা দিলেন ‘সহেসপুর এক্সপ্রেস’।
অজিদের ইনিংসকে ২৭৬ রানে অল আউট করে ম্যাচ সম্প্রচারকারী চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে আসেন শামি। তবে পাঁচ উইকেট নিলেও প্রথম স্পেলে মাত্র তিন ওভার বোলিং করেই মাঠ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। কিন্তু কেন? বিশ্বকাপের আগে কি ফের একবার চোট মাথাচাড়া দিয়ে উঠল? শামি ধারাভাষ্যকারকে খোঁচা দিয়ে বললেন, “কি আর করা যাবে। আপনারা এসি চালানো ঠাণ্ডা ঘরে বসে থাকেন। আর আমাদের গরমের মধ্যে মাঠে খেলতে হয়!” শামির এমন খোঁচা তখন সেই ধারাভাষ্যকারের বেহাল অবস্থা।
[আরও পড়ুন: শামির পাঁচ উইকেট নিয়ে আগুনে বোলিংয়ের পরেও ফিল্ডিং নিয়ে উঠে গেল প্রশ্ন, ভারতের টার্গেট ২৭৭ রান]
এশিয়া কাপে সুযোগ না পেলেও কোন মন্ত্রে জ্বলে উঠলেন? শামির জবাব ছিল, “আমরা সবাই অনেক বছর আন্তর্জাতিক মঞ্চে পারফর্ম করছি। তাই আমাদের পেস বাহিনী জানে কীভাবে এই পর্যায়ে পারফর্ম করতে হয়। তাছাড়া আরও একটি বিষয় জানিয়ে রাখা ভালো, আমাদের মধ্যে কোনও লড়াই নেই। বরং আমরা গত সাত-আট বছর ধরে একে অন্যের সাফল্য উপভোগ করি। আর তাই আমাদের পেস অ্যাটাক সাফল্য পাচ্ছে।”
মোহালির বাইশ গজে বোলারদের জন্য কিছুই ছিল না। তাহলেও কীভাবে বিপক্ষ ব্যাটারদের চাপে রাখলেন? শামির জবাব, “এমন পাটা উইকেটে অনেক বোলিং করেছি। এমন উইকেটে সাফল্য পেতে হলে সঠিক লাইন-লেন্থ বজায় রেখে বোলিং করা খুব দরকার। সঙ্গে ভ্যারিয়েশন বজায় রাখতে হবে। আর তাই ব্যাটিং সহায়ক এমন উইকেটে পাঁচ উইকেট পেয়ে খুবই ভালো লাগছে।”
[আরও পড়ুন: রান আউটের সুযোগ নষ্ট থেকে ভূরি ভূরি মিস, রাহুলের কিপিং নিয়ে ক্ষুব্ধ নেটদুনিয়া]
প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই দলকে সাফল্য এনে দেন শামি। তাঁর আউট সুইং বুঝতে না পেরে খোঁচা দেন মিচেল মার্শ। বলে চলে যায় প্রথম স্লিপে থাকা শুভমান গিলের হাতে। এরপর অবশ্য দুই অভিজ্ঞ অজি ব্যাটার বাইশ গজ দাপাতে থাকেন। দ্বিতীয় উইকেটে ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভ স্মিথ ৯৪ রান তুলে দেন। তবে শ্রেয়স আইয়ার একটু সজাগ থাকলে এই জুটি অনেক আগেই ভেঙে যেত। ওয়ার্নার তখন ২৯ রানে ব্যাট করছেন, ঠিক এমন সময় শার্দুল ঠাকুরের বলে লোপ্পা ক্যাচ ফেলে শ্রেয়স। যদিও ওয়ার্নারকে (৫২) ফিরিয়ে ভারতকে দ্বিতীয় সাফল্য এনে দেন রবীন্দ্র জাদেজা। ফলে ৯৮ রানে ২ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। এর কিছুক্ষণ পর আবার সাফল্য পায় টিম ইন্ডিয়া। স্টিভ স্মিথ ফিরে যান ৪১ রানে। দুরন্ত অফ কাটারে তাঁর স্টাম্প ছিটকে দেন শামি। এরপর লোয়ার অর্ডারকেও ভেঙে দেন তিনি। ভয়ংকর হয়ে ওঠা মার্কাস স্টইনিসকে ২৯ রানে আটকে দেন। ফলে ২৭৬ রানে অল আউট হয়ে যায় অজিরা।