এশিয়া কাপের (Asia Cup) সুপার ফোরে পাকিস্তানের কাছে হারল ভারত। হারের কারণ বিশ্লেষণ করলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার সৌরাশিস লাহিড়ী।
মনে হচ্ছিল গত রবিবারের ভারত-পাকিস্তানের (IND vs PAK) যেন অ্যাকশন রিপ্লে দেখছি। শেষ ওভারে পর্যন্ত টানটান উত্তেজনা। নাটকীয় সব পরিস্থিতি। তফাতের মধ্যে শুধু একসপ্তাহ আগে শেষ ওভারে ম্যাচটা ভারত জিতেছিল। আর এদিন জিতল পাকিস্তান। আগের দিন আমাদের বোলাররা অনেক ভাল বোলিং করেছিল। এদিন সেটা হল না। কী কী কারণের জন্য রোহিত শর্মারা এদিন হারল, সেটাই বিশ্লেষণ করছি।
পনেরো-কুড়ি রান কম করা: শুরুটা যেভাবে করেছিল রোহিত শর্মা আর লোকেশ রাহুল মিলে, তাতে মনে হচ্ছিল দু’শো হয়ে যাবে। সেখানে কম করে পনেরো-কুড়ি রান কম করেছে ভারত। দিনের শেষে সেটা ফ্যাক্টর হয়ে গেল। বিশেষ করে মিডল ওভারে সেভাবে কেউ রানের গতি বাড়াতেই পারল না। বিরাট কোহলি (Virat Kohli) একটা দিকে দাঁড়িয়ে ৪৪ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলল ঠিকই, কিন্তু হার্দিক পাণ্ডিয়া, ঋষভ পন্থ কিংবা দীপক হুডা কেউ সেভাবে সাপোর্ট করতে পারল না। স্কোরবোর্ডে দু’শো থাকলে ভারত কোনওভাবেই ম্যাচটা হারত না।
অর্শদীপের ক্যাচ মিস: রবি বিষ্ণোইয়ের বলে অর্শদীপ সিং যে ক্যাচটা ফেলল, সেটা পাড়ার ক্রিকেটেও কেউ ফেলবে না। সেই আসিফ আলি ৮ বলে ১৬ রানে করে গেল। আমি একবারও বলছি না যে ওই ক্যাচটা নিয়ে নিলে ভারত ম্যাচ জিততই। তবে তখন আফিস আউট হলে পাকিস্তান ভালরকম চাপে পড়ে যেত।
[আরও পড়ুন: স্থায়ী হল না শুরুর ঝড়, ২০০-র ইঙ্গিত দিয়ে ভারত থামল ১৮১ রানে]
খারাপ বোলিং: এক সপ্তাহ আগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় বোলাররা ঠিক যতটা ভাল বোলিং করেছিল, এদিন ঠিক ততটাই খারাপ বোলিং করল ভুবনেশ্বর কুমার, যুজবেন্দ্র চাহাল, হার্দিক পাণ্ডিয়ারা। তিনজনই সিনিয়র বোলার। অথচ এই তিনজন ওভার পিছু দশের উপর করে রান দিয়ে গেল। অর্শদীপ আর বিষ্ণোই ভাল বোলিং করল ঠিকই, কিন্তু তাতে কোনও লাভ হল না। আমার মনে হয়, মহম্মদ শামি না থাকাটা ভীষণরকম ভোগাচ্ছে ভারতকে। জশপ্রীত বুমরাহ চোটের জন্য নেই। এই পরিস্থিতিতে শামির টিমে থাকাটা দরকার ছিল। আমি সবসময়ই বলে এসেছি, ফরম্যাট যাই হোক না কেন, দেশের সেরা দু’জন পেসার হল বুমরা আর শামি। সবচেয়ে বড় কথা হল শামির অভিজ্ঞতা। কোন পরিস্থিতিতে কী বোলিং করতে হবে, সেটা খুব ভাল করে জানে। জানি না কেন ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট এশিয়া কাপের দলে শামিকে রাখল না।
অশ্বিনকে না খেলানো: আমার মনে হয় রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে না খেলানোটা একটা বড় ভুল ছিল। অশ্বিন বিশ্বমানের স্পিনার। তাছাড়া দুবাইয়ের কন্ডিশনে আপনি টিমে যত বেশি স্পিনার রাখবেন, তত লাভ। সেখানে দীপক হুডাকে খেলানো হল। অথচ ওকে দিয়ে একটা ওভারও বোলিং করানো হল না।