বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: বিমায় জিএসটি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নভেম্বর মাস পর্যন্ত ঝুলেই রইল। সোমবার জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে বিমায় জিএসটি প্রত্যাহারের দাবিতে সরব হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। দেশের বাকি রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরাও স্বাস্থ্যবিমার জিএসটি কম করার পক্ষেই। কিন্তু ৫৫তম জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকেও তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
[আরও পড়ুন: ‘রেসপিরেটরি সাপোর্টে’ সংকটজনক সীতারাম ইয়েচুরি, সোশাল মিডিয়ায় বিবৃতি দলের]
বিমায় জিএসটি প্রত্যাহারের দাবিতে বহুদিন থেকেই সরব তৃণমূল কংগ্রেস। দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই দাবি জানিয়ে চিঠিও লিখেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে। বিষয়টি নিয়ে সংসদের অধিবেশনেও সরব হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল। সেই মতোই এদিনের বৈঠকে সরব হন চন্দ্রিমা। বৈঠকের পরে তিনি জানিয়েছেন, "আমরা জীবন ও স্বাস্থ্য উভয় বিমা থেকেই জিএসটি পুরোপুরি প্রত্যাহারের পক্ষে। নীতি আয়োগের রিপোর্টেই বলা হয়েছে, দেশের ৩০ শতাংশ মানুষ স্বাস্থ্যবিমার বাইরে রয়েছে। তাই আমাদের চেষ্টা করতে হবে যাতে দেশের সমস্ত মানুষ স্বাস্থ্য বিমার আওতায় আসে। স্বাস্থ্য বিমায় যে জিএসটি কমাতে হবে সেই বিষয়ে সকলেই সহমত হয়েছেন।"
দিল্লিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতরমনের নেতৃত্বে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে স্বাস্থ্য বিমায় বর্তমানে যে ১৮ শতাংশ জিএসটি রয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এদিন কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সোমবারের বৈঠকে ক্যানসারের ওষুধের ওপর থেকে জিএসটি ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।