সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশজুড়ে হাহাকার! মহামারীর (Coronavirus) কবলে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে ‘আম হিন্দুস্তানি’কে। কোথাও নেই অক্সিজেন, কোথাও মিলছে না রেমডেসিভির, কোথাও আবার হাসপাতালের বেডই অমিল। চারিদিকে যেন শুধু হাহাকার চলছে। এসবের মধ্যে খরচের নিরিখে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে গেল ভারত, তবে সেটা স্বাস্থ্যক্ষেত্রে নয়। প্রতিরক্ষা খাতে। প্রতিরক্ষা খাতে খরচের নিরিখে বিশ্বের সেরা ৩ শক্তিশালী দেশের তালিকায় ঢুকে পড়ল ভারত। রাশিয়াকে পিছনে ফেলে প্রতিরক্ষা খাতে খরচের নিরিখে ভারত এখন বিশ্বে তৃতীয় স্থানে। সামনে শুধু চিন এবং আমেরিকা।
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রকাশ করা তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয়ের নিরিখে ভারত রাশিয়া (Russia), ব্রিটেন, সৌদি আরবকে টপকে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে। গোটা বিশ্বে প্রতিরক্ষা খাতে মোট ব্যয়ের ৩.৭ শতাংশ খরচ করেছে ভারত। শীর্ষে অবশ্যই আমেরিকা (USA)। তাঁরা খরচ করেছে প্রতিরক্ষা খাতে মোট ব্যয়ের প্রায় ৩৯ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা চিন খরচ করেছে মোট ব্যয়ের ১৩ শতাংশ। তারপরই ভারতের স্থান। ২০২০ সালে মোদির ভারত প্রতিরক্ষা খাতে খরচ করেছে প্রায় ৬ লক্ষ ৫৭ হাজার ২১২ কোটি টাকা। ২০২০ সালে আমেরিকার মোট প্রতিরক্ষা বরাদ্দ প্রায় ৫৮ লক্ষ ৩ হাজার ৪০৫ কোটি টাকা। চিনের বরাদ্দ প্রায় ২২ লক্ষ ৭১ হাজার ৮৪৪ কোটি টাকা। চতুর্থ স্থানে থাকা রাশিয়া গতবছর প্রতিরক্ষা খাতে প্রায় ৫ লক্ষ ৫৬ হাজার ২৪১ কোটি টাকা ব্যয় করেছে।
[আরও পড়ুন: পণ্যবাহী বিমানে নিষেধাজ্ঞা চিনের, করোনা আবহে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পেতে সমস্যায় ভারত]
চমকপ্রদ বিষয় হল, ২০২০ সালে গোটা বিশ্ব যখন মহামারীর বিরুদ্ধ লড়াই করছে তখনও প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়িয়েছে এই দেশগুলি। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রিপোর্ট বলছে মহামারীর বছরও গোটা বিশ্বে প্রতিরক্ষা খাতে খরচ বেড়েছে প্রায় ২ ট্রিলিয়ন ডলার। আগের বছরের তুলনায় আমেরিকা খরচ বাড়িয়েছে ৪.৪ শতাংশ। চিন প্রতিরক্ষা খাতে আগের বারের তুলনায় খরচ বাড়িয়েছে ১.৭ শতাংশ। আর ভারত বাড়িয়েছে ২.৯ শতাংশ। অর্থাৎ চিনের থেকে গতবছর ভারত প্রতিরক্ষা খাতে অনেক বেশি বাড়িয়েছে। আসলে, ২০১৪-তে ক্ষমতায় এসেই প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। প্রতিবছর বাজেটেই বেড়েছে এই খাতে বরাদ্দের পরিমাণ। ‘আত্মনির্ভর’ ভারতের লক্ষ্যে মহামারীর বছরেও তার ব্যতিক্রম করেনি কেন্দ্র।