সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরও একদফা সামরিক বৈঠকে রাজি হয়েছে ভারত ও চিন। লাদাখ সীমান্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সপ্তমবারের জন্য লালফৌজের কমান্ডারের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ভারতীয় সেনার কোর কমান্ডার। তবে বৈঠকে রাজি হলেও সীমান্তে সংঘাত মেটাতে কোনও রফাসূত্র না মেলায় নিজের অবস্থানেই অনড় দুই পক্ষ।
[আরও পড়ুন: লকডাউনে বাতিল বিমানের টিকিটের অর্থ ফেরত পাবেন যাত্রীরা, জানেন কীভাবে?]
বুধবার, ভারত ও চিনের ওয়ার্কিং মেকানিজম ফর কনসাল্টেশন অ্যান্ড কো-অর্ডিনেশনের (ডব্লুএমসিসি) অধীনে যৌথ আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। ভারচুয়াল বৈঠকে বসেন দু’দেশের শীর্ষ কূটনীতিকেরা। এই বৈঠকে ভারতের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন বিদেশমন্ত্রকের (ইস্ট এশিয়া) জয়েন্ট সেক্রেটারি নবীন শ্রীবাস্তব। বেজিংয়ের তরফে হাজির ছিলেন সেদেশের বাউন্ডারি অ্যান্ড ওশিয়ানিক ডিপার্টমেন্টের জেনারেল ডিরেক্টর হং লিয়াং। ওই বৈঠকেই কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠকের কথা উঠে আসে। তবে ভারচুয়াল আলোচনায় কেন্দ্রশাসিত লাদাখ (Ladakh) নিয়ে বেজিংয়ের মন্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে নয়াদিল্লি। শুধু তাই নয়, ১৯৫৯ সালে একতরফা ভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা চিহ্নিত করেছিল চিন (China)। ভারত সেই সীমারেখাকে স্বীকারই করে না। বরং এ নিয়ে একাধিকবার দু’দেশের আলোচনা হয়েছে। তবে বাকবিতণ্ডা চললেও এদিনের বৈঠকে দু’পক্ষই সেপ্টেম্বরের ২১ তারিখ ষষ্ঠ দফা কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠকের পরিণাম নিয়ে আলোচনা করে। যদিও সীমান্তে সংঘাত মেটাতে এদিনের বৈঠকেও কোনও সূত্র মিলল না।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের ১০ তারিখ দু’দেশের বিদেশমন্ত্রকের প্রতিনিধিরা মস্কোয় ফের মুখোমুখি বসেন। সেখানেই সীমান্তে নতুন করে সেনা মোতায়েন না করা, সঙ্ঘর্ষের সম্ভাবনা এড়ানো সংক্রান্ত পাঁচ দফা প্রস্তাব উঠে আসে। কিন্তু তারপরও পরিস্থিতি বদলায়নি। পালটা সমস্যা আর জটিল করে চিনা বিদেশমন্ত্রক মন্তব্য করে যে , কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে লাদাখকে চিন কখনও স্বীকারই করেনি। বেজিংয়ের অভিযোগ, ভারতীয় সেনাবাহিনী বারবার সীমানা অতিক্রম করেছে। ভারত বিতর্কিত এলাকা থেকে সেনা ও সামরিকসজ্জা সরিয়ে নিলেই স্থিতাবস্থা বজায় রাখা সম্ভব হবে। উল্লেখ্য, চিনের প্রস্তাবিত নিয়ন্ত্রণ রেখা কোনও দিন মেনে নেয়নি ভারত।
[আরও পড়ুন: ফের কাশ্মীরে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন পাকিস্তানের! শহিদ এক জওয়ান, আহত আরও ১]
The post আরও একদফা সামরিক বৈঠকে রাজি ভারত-চিন, সীমান্তে এখনও অধরা রফাসূত্র appeared first on Sangbad Pratidin.