সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সীমান্তে সংঘাতের আবহে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে উদ্যোগী ভারত (India) ও চিন (China)। শীঘ্রই পূর্ব লাদাখে সীমান্ত সমস্যার সমাধান খুঁজতে বৈঠকে বসতে চলেছেন দুই দেশের সেনা আধিকারিকরা। শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক।
[আরও পড়ুন: কৃষক নেতাদের খুনের ছক! মুখোশধারী ‘আততায়ী’কে শনাক্ত করে দাবি বিক্ষোভকারীদের]
গত বছরের মার্চ মাস থেকে পূর্ব লাদাখে চলছে চিনা ফৌজের আগ্রাসী গতিবিধি। পালটা কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পাহাড় চূড়া দখল করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনীও। ইতিমধ্যে সীমান্তে সংঘাত এড়াতে ও বিতর্কিত অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারের উদ্দেশ্যে কোর কমান্ডার স্তরের আট দফা আলোচনা হয়েছে লালফৌজ ও ভারতীয় বাহিনীর মধ্যে। কিন্তু রফাসূত্র মেলেনি। তাই এবার ফের বৈঠকে বসতে চলেছে দুই দেশ। এই প্রসঙ্গে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপত্র অনুরাগ শ্রীবস্তব বলেন, “শীর্ষ কমান্ডার স্তরের বৈঠকে রাজি হয়েছে দুই দেশ। তবে কূটনৈতিক স্তরেও আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।” সূত্রের খবর, এবারের আলোচনায় চিনা বিদেশমন্ত্রকের প্রতিনিধিও উপস্থিত থাকতে পারেন। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নিয়ে ফের নিজের দাবি পেশ করতে পারে বেজিং। তবে এই মর্মে কোনও সমঝোতার পত্যহে হাঁটবে না নয়াদিল্লি।
এদিকে, অরুণাচল প্রদেশে চিনা সেনার আগ্রাসী আচরণে এই বৈঠক কতটা সফল হবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। সম্প্রতি, সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয় অরুণাচল প্রদেশের সুবানসিরিতে (Subansiri) গ্রাম তৈরি করেছে চিন। কিন্তু বিষয়টিকে স্বাভাবিক বলে উল্লেখ করা হয়েছে বেজিংয়ের তরফে। চিনা বিদেশমন্ত্রকের তরফে এপ্রসঙ্গে জানানো হয়, নিজেদের ভূখণ্ডে গ্রাম তৈরির ঘটনা খুবই স্বাভাবিক। ওই এলাকায় পরিকাঠামো তৈরি ও উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে যেসব মন্তব্য করা হচ্ছে তাও ভিত্তিহীন। খবরটি প্রকাশ পেতেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে দেশজুড়ে। এরপরই বিজেপির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দাগেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী-সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির একাধিক নেতা। যদিও ওই গ্রামটি কংগ্রেসের আমলেই তৈরি হয়েছিল বলে দাবি করে গেরুয়া শিবির। সব মিলিয়ে, লাদাখের পর এবার অরুণাচলেও লালফৌজের আগ্রাসন স্পষ্ট। আসন্ন আলোচনা এই প্রসঙ্গও যে উঠবে তা বলাই বাহুল্য।