সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বের বৃহত্তম পরমাণু কেন্দ্র (Nuclear plant) তৈরি হচ্ছে ভারতে। মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) জৈতাপুরে কেন্দ্রটির নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ হলেই বিশ্বের বৃহত্তম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র হিসেবে গণ্য হবে সেটি। এমনটাই দাবি এই প্রকল্পে অন্যতম সহায়তাকারী ফ্রান্সের (France) সংস্থা ইডিএফ-এর। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই এই প্রকল্প আটকে রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিরোধে।
ইডিএফ জানিয়েছে, কেন্দ্রটির নির্মাণ পুরো হয়ে গেলে তা ১০ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হবে। যা থেকে বিদ্যুৎ পাবে ৭ কোটি পরিবার। তবে এটির নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ হতে ১৫ বছর লেগে যাবে। যদিও তার বহু আগে থেকেই বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ শুরু হয়ে যাবে। মার্কিন সংস্থা ‘জিই স্টিম পাওয়ার’ ও ইডিএফ যৌথ ভাবে জৈতাপুরে ৬টি তৃতীয় প্রজন্মের ইপিআর পরমাণু চুল্লি নির্মাণ করবে। সেই সঙ্গে ফরাসি সংস্থার আশা, এই প্রকল্পকে কেন্দ্র করে অন্তত ২৫ হাজার স্থানীয় কর্মসংস্থান তৈরি হবে। তবে সেগুলি অস্থায়ী হলেও ২ হাজার ৭০০ পাকা চাকরিও হবে বলে দাবি ইডিএফ-এর। কত খরচ পড়বে এই বিপুল কর্মযজ্ঞকে সফল করে তুলতে? সে ব্যাপারে অবশ্য নীরব ফরাসি সংস্থা।
[আরও পড়ুন: করোনায় মৃতদের গণচিতা দিল্লিতে, মে মাসে দৈনিক মৃত্যু পেরোতে পারে ৫ হাজার, আশঙ্কা গবেষকদের]
প্রসঙ্গত, এই পরমাণু কেন্দ্রের পরিকল্পনা হয়েছিল আজ থেকে ২০ বছর আগে। কিন্তু ২০১১ সালে জাপানোর ফুকুশিমা পরমাণু কেন্দ্রের দুর্ঘটনায় সেই পরিকল্পনা ধাক্কা খেয়ে যায়। সেই সময় শিবসেনা প্রবল বিরোধিতা করেছিল এই প্রকল্পের। বর্তমানে অবশ্য কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ে মহারাষ্ট্রে সরকার চালাচ্ছে তারা। তাই এবার আর কোনও বিরোধিতা করতে দেখা যায়নি তাদের।
এই ধরনের পরমাণু কেন্দ্রের ফলে ভূমিকম্প ও স্থানীয় জলাশয়ের মাছ নষ্ট হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু তেমন অভিযোগ উড়িয়ে দিচ্ছেন ইডিএফ-এর পরমাণু শাখার প্রধান জেভিয়ার উরসাত। তিনি জানিয়েচেন, জৈতাপুরের ভৌগলিক পরিবেশ এই ধরনের কেন্দ্র গড়ে তোলার অনুকূল।