সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরও শক্তিশালী হতে চলেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। শত্রুদেশের বুকে কাঁপুনি ধরিয়ে হেলিকপ্টার ‘ধ্রুব’ থেকে সফলভাবে লক্ষ্যভেদ করল ‘হেলিনা’ (Helina) মিসাইল। আকাশ থেকে শত্রুর ট্যাঙ্ককে নিখুঁতভাবে ধ্বংস করে দেওয়ার কৌশল রপ্ত করে ফেলল ডিআরডিও (DRDO)।
সোমবার রাজস্থানের পোখরান পরীক্ষাকেন্দ্রে ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) লাইটওয়েট হেলিকপ্টার ধ্রুব থেকে ছোঁড়া হেলিনা ক্ষেপণাস্ত্র সফল ভাবে লক্ষ্যভেদ করেছে। এমনটাই জানানো হয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে। প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রের খবর, এই হালকা ও সহজে বহনযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রে ব্যবহৃত ইনফ্রারেড রশ্মি দ্রুত শক্রুর ট্যাঙ্ককে চিহ্নিত করতে পারে। এদিন পোখরানেও ইনফ্রারেড ইমাজিনিং রশ্মি (IIR)-এর মাধ্যমেই টার্গেটকে লক করে লক্ষ্যভেদ করেছে হেলিনা।
[আরও পড়ুন: ‘একাধিক ক্ষেত্রে দেশের মধ্যে এক নম্বরে বাংলা’, রাজ্যে ফের শিল্প বিনিয়োগের বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর]
প্রসঙ্গত, হেলিনা বা এই HELIcopter-launched-NAg মিসাইলটি ডিআরডিও-র তৈরি অন্যতম বিধ্বংসী তৃতীয় প্রজন্মের মিসাইল। দিনে হোক বা রাতে, এই মিসাইল সঠিক নিশানায় আঘাত হানতে সক্ষম। এতে রয়েছে বিশেষ ধরনের বৈদ্যুতিন সেন্সর, যা চট করে শত্রুপক্ষের রাডারেও ধরা পড়ে না। পাশাপাশি ছোড়ার পর নিজে থেকেই লক্ষ্যবস্তু খুঁজে আঘাতও হানতে পারার ক্ষমতাও মিসাইলটির। এর রেঞ্জ ৭ কিলোমিটার থেকে ২০ কিলোমিটার। সীমান্তে শত্রুদেশের মোকাবিলা করতে এটা যে ভারতীয় সেনার অন্যতম শক্তিশালী হাতিয়ার হতে চলেছে সে ব্যাপারে আশাবাদী বিশেষজ্ঞরা।
[আরও পড়ুন: মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের মামলায় নয়া মোড়, স্পিকারকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার নির্দেশ হাই কোর্টের]
বলা বাহুল্য, ডিআরডিওর তৈরি এই মিসাইলটি ভারতীয় সেনার শক্তি অনেকটা বাড়িয়ে দিল। এই মিসাইলটি ভারতীয় স্থলসেনা এবং বায়ুসেনা (বায়ুসেনার ক্ষেত্রে নাম ধ্রুবাস্ত্র) দুই বাহিনীতেই যুক্ত হবে। যার ফলে শত্রুদেশ ট্যাঙ্ক নিয়ে করতে চাইলেই হেলিনার র্যাডারে চলে আসবে।