সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইজরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। ওই ঘটনার নিন্দা না করার অভিযোগে ইজরায়েলে রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের প্রবেশাধিকারের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে নেতানিয়াহু সরকার। ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিবকে সমর্থন জানিয়ে চিঠি প্রকাশ করেছে গোটা বিশ্বের ১০৪ দেশ। ভারত সেই চিঠিতে সই করল না। যদিও লেবাননে রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীর উপরে হামলার তীব্র নিন্দা করে বিবৃতিতে দিয়েছে দিল্লি।
হেজবোল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লার মৃত্যুর বদলা নিতে ইজরায়েলে প্রায় ৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইরান। এর পর যুদ্ধবিরোধী বিবৃতি দিলেও দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ওই ঘটনার নিন্দা না করার অভিযোগে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসেকে ইজরায়েলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সে দেশের সরকার। এক বিবৃতিতে বিদেশমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেন, “যে বা যাঁরা দ্ব্যর্থহীনভাবে ইজরায়েলের ওপর ইরানের জঘন্য হামলার নিন্দা করবে না, যেমনটা বিশ্বের প্রায় সব দেশ করছে, সে-ই ইজরায়েলের মাটিতে পা রাখার যোগ্য নয়।” তিনি আরও মন্তব্য করেন, “আন্তোনিও গুতেরেস সঙ্গে থাকুন বা না থাকুন, ইজরায়েল তার নাগরিকদের রক্ষা করবে এবং জাতীয় মর্যাদা বজায় রাখবে।”
ইজরায়েলের এই পদক্ষেপের নিন্দা করে রাষ্ট্রপুঞ্জের ১০৪টি দেশ ও আফ্রিকান ইউনিয়ন চিঠি প্রকাশ করেছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের ১০টি সদস্য দেশ এই চিঠিতে সই করেছে। যদিও আমেরিকা, ব্রিটেন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ভারত সই করেনি। এদিকে ইজরায়েল-হামাস দ্বন্দ্ব শুরুর পর থেকেই মোদি সরকারের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলছিল দেশের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। এদিন গুতেরেসকে সমর্থনের চিঠিতে সই না করায় ফের সরব হয়েছে রাহুল গান্ধীর দল। কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশের মন্তব্য, "কেন প্রধানমন্ত্রী বিদেশ মন্ত্রককে এই অবস্থান নিতে নির্দেশ দিয়েছেন, তার পিছনে রহস্য রয়েছে? লজ্জাজনক।" কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমও মনে করেন, ভারতের উচিত ছিল রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিবের প্রবেশাধিকারে নিষেধাজ্ঞা জারির বিরোধিতা করা।