সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুলেট ট্রেনের ভাগ্যে বড়সড় ফাঁড়া। ভারত আর জাপান যত যৌথ উদ্যোগ এবার সম্ভবত মুখ থুবড়ে পড়তে চলেছে। কারণ থানের জেলাশাসকের অফিসের সামনে বুলেট ট্রেন চালানোর প্রতিবাদ শুরু করছেন কৃষকরা।
[ কুমারস্বামীর স্বপ্নভঙ্গ, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ ইয়েদুরাপ্পার ]
বুধবার জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে প্রায় ১০০ জন কৃষক প্রতিবাদে শামিল হন। জেলাশাসকের অফিসের সামনে প্রায় ঘণ্টা দু’য়েক ধরে প্রতিবাদ জানান তাঁরা। মূলত মুম্বই-আমেদাবাদ বুলেট ট্রেনের বিরুদ্ধেই ছিল তাঁদের প্রতিবাদ। তবে এ পিছনে কোনও রাজনৈতিক দলের সমর্থন ছিল না। কৃষকরা নিজেরাই এই প্রতিবাদ জানান। তাঁদের দাবি ছিল, বুলেট ট্রেন হচ্ছে হোক। তাতে কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে যাতে কোনও কৃষক তাঁদের কৃষিজমি না হারান। অগ্রি যুবক সংঘের (আয়ুষ) সভাপতি গোবিন্দ ভগৎ জানান, বুলেট ট্রেনের রুট পূর্ববর্তী আমেদাবাদ-মুম্বই-কোলাবা থাকুক। অথবা তাকে ভাসি ও থানে ক্রিক দিয়ে ঘোরান হোক। মুলান্দ হয়ে ট্রেনের রুট বম্বে পোর্ট ট্রাস্ট পর্যন্ত করা হোক বলে দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা।
[ আইনের বাইরে যেতে পারেন না রাজ্যপাল, তোপ চিদম্বরমের ]
ভগতের অভিযোগ, প্রজেক্টের জন্য জোর করে একটি সার্ভে চালিয়েছে জেলাশাসকের দপ্তর। ১৯৬২ সাল থেকে কোনও সমীক্ষা হয়নি। আর এখন তাঁদের এলাকাকে বস্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হল। তাঁদের দাবি, যে সমীক্ষাটি জোর করে করা হয়েছিল, সেটি বাতিল করা হোক। এই নিয়ে তেহসিলদার, তালাথি ও আঞ্চলিক অফিসারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
জানা গিয়েছে, বুলেট ট্রেনের প্রজেক্ট হওয়ার ফলে প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ একর কৃষিজমি হারিয়েছেন কৃষকরা। রেল লাইন ও কারশেডের জন্য এই জমি তাঁদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভগৎ বলেন, “এটি কোনও একজনের স্বপ্নের প্রজেক্ট। তার মানে এই নয় আপনি যা খুশি করতে পারেন।” ঘটনার পর জেলাশাসক মহেন্দ্র কল্যঙ্করের এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
The post বুলেট ট্রেনের গতিপথে আপত্তি, প্রতিবাদে থানের কৃষকরা appeared first on Sangbad Pratidin.