সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটা ডেস্ক: দেশে প্রকট নারী-পুরুষের বিভেদ। লিঙ্গ সাম্যে (Gender Parity) পিছনের সারিতেই রয়ে গেল মোদির ভারত। চলতি বছরে লিঙ্গ সাম্যের তালিকায় ভারতের স্থান ১৩৫ নম্বরে। তবে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে মেয়েদের অংশগ্রহণে হার বাড়ায় রোখা গিয়েছে অধঃপতন। গত বছরের তুলনায় পাঁচ ধাপ উপরে স্থান হয়েছে। যদিও বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার থেকেও পিছিয়ে ভারত।
বুধবার ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (World Economic Forum) প্রকাশ করেছে বার্ষিক লিঙ্গ সাম্যের (Gender Gap Report 2022) তালিকা। এই তালিকায় শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে আইসল্যান্ড (Iceland)। এরপরেই রয়েছে ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, নিউজিল্যান্ড ও সুইডেন। মোট ১৪৬টি দেশের তালিকায় ভারতের থেকে পিছিয়ে রয়েছে মোটে ১১টি দেশ। একদম পিছনের সারিতে স্থান হয়েছে পাঁচটি দেশের। সেগুলি হল আফগানিস্তান (Afganistan), পাকিস্তান (Pakistan), কঙ্গো (Congo), ইরান (Iran) ও চাদ (Chad)।
[আরও পড়ুন: এবার ১৮ ঊর্ধ্বদেরও বিনামূল্যে দেওয়া হবে করোনা টিকার বুস্টার ডোজ, সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার]
তালিবানি শাসনের আফগানিস্তানের লিঙ্গ বৈষম্য নতুন করে বলে দেওয়ার বিষয় নয়। সেখানে পর্দানশিন মেয়েরা। নিজেদের অধিকার ফিরে পেতে নিরন্তর লড়াই চালাচ্ছেন মহিলারা। পাকিস্তানের অবস্থাও তথৈবচ। অন্যদিকে আফ্রিকার কঙ্গো ও চাদের মতো দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কট ঘোরতর। এই দেশগুলির সঙ্গে ভারতের তুলনা কখনওই চলে না। অথচ লিঙ্গ সাম্যের প্রশ্নে খারাপ ফল করে এখন এই দেশগুলির সঙ্গেই উচ্চারিত হচ্ছে ভারতের নাম। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপের থেকেও পিছিনের সারিতে স্থান হয়েছে ভারতের।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মহামারী গোটা পৃথিবীতেই লিঙ্গ বৈষম্য বাড়িয়েছে। ডব্লিউইএফ (WEF) জানিয়েছে, ভারতে লিঙ্গ সাম্যের একাধিক সমস্যা থাকলেও গত ১৬ বছরে সপ্তম বার লিঙ্গ বৈষম্য কিছুটা কমেছে। দেশে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আগের তুলনায় মহিলারা অনেক বেশি অবদান রাখলেও ২০২১ সাল থেকে মহিলা ও পুরুষ শ্রমিকের সংখ্যা কমেছে বলেও জানিয়েছে ডব্লিউইএফ।
[আরও পড়ুন: ১৫ দফা আলোচনায় মেলেনি সমাধান, লাদাখ নিয়ে ফের সেনা বৈঠক ভারত-চিনের]
তবে রাজনীতির আঙিনায় অনেক বেশি মহিলার অংশগ্রহণে এইক্ষেত্রে ভারতের স্থান রয়েছে শীর্ষে। অন্যদিকে প্রাথমিক শিক্ষায় ভাল ফল করেছে ভারত। তথাপি সার্বিকভাবে ভারতের স্থান ১৩৫ তম। এর অন্যতম কারণ নারী-পুরুষের ভেদাভেদের সমস্যা রয়ে যাওয়া। পুত্র সন্তানের আকাঙ্খায় কন্যাভ্রূণ হত্যার মতো ঘটনা, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। লিঙ্গ সাম্যের সমস্যা ছাড়াও অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ এবং মহিলাদের পর্যাপ্ত সুযোগের অভাবকেও এই অবনমনের জন্য দায়ী করা হয়েছে।