সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে (Hunger Index) শোচনীয় পরিসংখ্যান নিয়ে মুখ খুলল ভারত সরকার। কেন্দ্রের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, সম্পূর্ণ ভুলভাবে সমীক্ষা চালানোর পরে এই রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, দেশ হিসাবে ভারতের নিন্দা করতেই এহেন রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, শনিবার একটি সমীক্ষার রিপোর্টে দেখা যায়, ১২১টি দেশের মধ্যে ক্ষুধা সূচকের তালিকায় ১০৭ নম্বরে রয়েছে ভারত। তালিকায় ভারতের উপরে রয়েছে পাকিস্তান, বাংলাসদেশের মতো দেশগুলি।
শনিবার এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্রীয় সরকার। নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের (Department of Women and Child Welfare) তরফ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, “এই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে খাদ্য মন্ত্রক। চলতি বছরের জুলাই মাসের কিছু পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, লাগাতার ভাবে ভারতের পরিচিতিতে কালি ছেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের মানুষ তাঁদের চাহিদা অনুযায়ী খাবার পান না। ভুল তথ্যের উপরে ভিত্তি করেই বিশ্ব ক্ষুধা সূচক তৈরি করা হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: ‘উপরে লিখুন শ্রীহরি, তারপর হিন্দিতে লিখুন প্রেসক্রিপশন’, চিকিৎসকদের পরামর্শ মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর]
গোটা সমীক্ষা পদ্ধতিকেই প্রশ্নের মুখে ফেলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “এই রিপোর্টে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, তা আসলে একটি ভ্রান্ত সমীক্ষার ফলাফল। এই সমীক্ষা করতে গিয়ে বহু নিয়মাবলি মানা হয়নি। তার ফলেই ১২১টি দেশের মধ্যে ১০৭ নম্বরে স্থান পেয়েছে ভারত।” কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বলা হয়েছে, যে সমস্ত মাপকাঠিতে ক্ষুধাকে পরিমাপ করা হয়েছে, তার অধিকাংশই অপ্রাসঙ্গিক। মাত্র তিন হাজার মানুষের মতামতের উপরে ভিত্তি করে গোটা বিশ্বের অবস্থা পরিমাপ করা, একেবারেই অযৌক্তিক বলে দাবি করেছে কেন্দ্র। মানুষের কাছে খাদ্য পৌঁছে দিতে সরকারের উদ্যোগগুলিকেও এই রিপোর্টে অস্বীকার করা হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রের।
প্রসঙ্গত, গত বছরও এই তালিকা প্রকাশের পর সূচকের পরিমাপ পদ্ধতির সারবত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল কেন্দ্র। দাবি করেছিল, এই তালিকা প্রস্তুতির পদ্ধতিতেই গলদ রয়েছে। তা একেবারেই বাস্তবসম্মত ও তথ্যনিষ্ঠ নয়। মন্ত্রকের দাবি ছিল, এই পদ্ধতি পুরোটাই অবৈজ্ঞানিক। ২০২১ সালের রিপোর্টে ভারতের স্থান ছিল ১০১ নম্বরে। তবে জানা গিয়েছে, পর্যাপ্ত তথ্য না পাওয়ার কারণে বেশ কিছু দেশকে এই তালিকায় রাখা হয়নি। তার মধ্যে অধিকাংশই আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া দেশ। সব মিলিয়ে, বেসরকারি এইক রিপোর্টকে একেবারেই বাতিলের খাতায় ফেলে দিল কেন্দ্রীয় সরকার।