সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বেশ কয়েকদিন ধরেই দেশে করোনা আক্রান্তের গ্রাফটা ঊর্ধ্বমুখী। চলতি বছর ৫ এপ্রিল প্রথমবার ভারতে দৈনিক সংক্রমণ এক লক্ষের গণ্ডি পেরিয়েছিল। আর সপ্তাহখানেকের মধ্যেই তা ২ লক্ষ টপকে যায়। সোমবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ৭৩ হাজারের থেকেও বেশি। কিন্তু মঙ্গলবার সেই তুলনায় অনেকটা কমল সংক্রমণ। সাম্প্রতিক অতীত এই প্রথম দৈনিক গ্রাফ নিম্নমুখী। তবে লাফিয়ে বাড়ল মৃতের সংখ্যা।
এদিন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২ লক্ষ ৫৯ হাজার ১৭০ জন করোনা (Corona virus) আক্রান্ত হয়েছেন। এর বেশিরভাগটাই যে মহারাষ্ট্রের সেটা বলাই বাহুল্য। মহারাষ্ট্র ছাড়াও পাঞ্জাব, কর্ণাটক, ছত্তিশগড়, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলিও রীতিমতো উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। দেশে মোট করোনা আক্রান্ত ১ কোটি ৫৩ লক্ষ ২১ হাজার ৮৯ জন। এদিকে একদিনে এই মারণ ভাইরাসে প্রাণ হারালেন ১৭৬১ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনার বলি ১ লক্ষ ৮০ হাজার ৫৩০ জন। লাফিয়ে বাড়ছে অ্যাকটিভ কেসও। বর্তমানে করোনার চিকিৎসাধীন ২০ লক্ষ ৩১ হাজার ৯৭৭ জন।
[আরও পড়ুন: কেমন আছেন করোনা আক্রান্ত মনমোহন সিং? আপডেট দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী]
পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৫৪ হাজার ৭৬১ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ১ কোটি ৩১ লক্ষ ৮ হাজার ৫৮২ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। টিকা পেয়েছেন ১২ কোটি ৭১ লক্ষেরও বেশি মানুষ। দেশজুড়ে করোনার নয়া তাণ্ডব রুখতে টিকাকরণের গতি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। একইসঙ্গে ১ মে থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে প্রত্যেককে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। টিকার সরবরাহ সচল রাখতে আজ সন্ধে ৬টায় ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
দেশজুড়ে টিকাকরণের পাশাপাশি রোগী চিহ্নিত করতে চলছে টেস্টিংও। ICMR-এর রিপোর্ট বলছে, গতকাল ১৫ লক্ষ ১৯ হাজার ৪৮৬টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। তবে শুধু বাড়তে থাকা সংক্রমণই নয়, চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনার নয়া স্ট্রেনও।