সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের কোভিড গ্রাফ মাঝেমধ্যে ঊর্ধ্বমুখী হলেও ICMR জানিয়ে দিয়েছে, আপাতত চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কা নেই। গত ২৪ ঘণ্টাতেই যেমন দেশে আক্রান্তের হার বৃদ্ধি পেল প্রায় ৭ শতাংশ। অ্যাকটিভ কেস ছাড়াল ২০ হাজারের গণ্ডি। তবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, কোভিডবিধি মানলে রুখে দেওয়া সম্ভব হবে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতাকে।
শনিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ৩,৮০৫ জন। গতকাল যে সংখ্যা ছিল অন্তত ৭ শতাংশ কম। এর মধ্যে শুধু দিল্লিতেই আক্রান্ত ১৬০০ পার। যদিও বাংলায় করোনা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। একদিনে এ রাজ্যে আক্রান্ত ৪৮ জন। তবে নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দেশের সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা। বর্তমানে অ্যাকটিভ কেস বেড়ে হল ২০ হাজার ৩০৩। গোটা দেশে অ্য়াকটিভ কেসের হার আপাতত ০.০৫ শতাংশ।
[আরও পড়ুন: লাউডস্পিকার বাজানোর জের, গুজরাটের মন্দিরে গণপিটুনিতে প্রাণ গেল ব্যক্তির!]
বুলেটিন অনুযায়ী, একদিনে দেশে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২২ জন। গত কয়েকদিন ধরে বাংলা করোনায় মৃত্যুহীন থাকলেও গত ২৪ ঘণ্টায় একজনের প্রাণহানি ঘটেছে। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ২৪ হাজার ২৪।
সংক্রমণ নিয়ে নতুন করে উদ্বেগের মাঝেও অবশ্য দেশে সুস্থতার হার স্বস্তিজনক। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৫ লক্ষ ৫৪ হাজার ৪১৬ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৩১৬৮ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৭৪ শতাংশ। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ১৯০ কোটির বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল ভ্যাকসিন পেয়েছেন সাড়ে ১৭ লক্ষের বেশি। জোর দেওয়া হচ্ছে বুস্টার ডোজেও। বিধিনিষেধ উঠে গেলেও কোনওভাবেই যাতে সংক্রমণ মাথাচাড়া না দেয়, তার জন্য টিকাকরণের পাশাপাশি করোনা রোগী চিহ্নিত করতে জোর দেওয়া হচ্ছে টেস্টিংয়েও। গতকাল দেশে ৪ লক্ষ ৮৭ হাজার ৫৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।