সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনের সঙ্গে সংঘাতের আবহে ফের শক্তিপ্রদর্শন ভারতের। শুক্রবার ওডিশার চাঁদিপুরের মিসাইল টেস্ট রেঞ্জ থেকে রাতের অন্ধকার চিরে নির্ভুল লক্ষ্যে ছুটে যায় পৃথিবী-২ (Prithvi-2)। পরমাণু অস্ত্রবাহী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষায় আরও একবার সাফল্য পেল দেশ।
[আরও পড়ুন: কথা রাখেননি প্রধানমন্ত্রী! ‘দরিদ্রের সেবা করতে’ বিহারের ভোটে দাঁড়াচ্ছেন ‘ডুপ্লিকেট’ মোদি]
প্রতিরক্ষা সূত্রে খবর, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭.৩০ নাগাদ ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জের লঞ্চ কমপ্লেক্স-৩ থেকে ছোঁড়া মিসাইলটি। আগেই ভারতীয় সেনায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই আণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন মিসাইলটি। গতকাল রুটিন মাফিক ক্ষেপণাস্ত্রটির কার্যক্ষমতা পরীক্ষা করল সেনাবাহিনী। চাঁদিপুর টেস্ট রেঞ্জ থেকে বঙ্গোপসাগরের বুকে ক্ষেপণাস্ত্রটির টার্গেট পর্যন্ত গোটাটাই ভারতীয় সেনার নজরদারিতে ছিল। এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের তত্ত্বাবধানে ছিল প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO)।
সারফেস-টু-সারফেস অর্থাৎ জমি থেকে জমিতে আঘাত হানতে সক্ষম ব্যালিস্টিক মিসাইল পৃথিবী–২ ৩৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত হামলা চালাতে সক্ষম। ৫০০ থেকে ১ হাজার কিলোগ্রাম পর্যন্ত আণবিক বোমা বহন করতে পারে ৯ মিটার লম্বা এই ক্ষেপণাস্ত্রটি। এটির প্রথম সফল উৎক্ষেপণ হয়েছিল ১৯৯৬ সালের ২৭ জানুয়ারি। সরকারিভাবে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে আসে ২০০৩ সালে। ২০০৪ সাল পর্যন্ত ওই ক্ষেপণাস্ত্রের প্রযুক্তিতে ধাপে ধাপে উন্নতি করা হয়। বহু দূর থেকেই শত্রুঘাঁটি চিনতে সক্ষম এই মিসাইল। একবার নিক্ষেপের পরে নির্ভুল নিশানায় আঘাত করতে পারে। এতে রয়েছে ‘ইনার্শিয়াল নেভিগেশন সিস্টেম’। দিনে ও রাতে, আবহাওয়ার যে কোনও পরিস্থিতিতে শত্রুঘাঁটিতে পরমাণু হামলা চালাতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র। শত্রুপক্ষের অ্যান্টি–ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের নজরও এড়িয়ে যেতে পারে।