সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্কের আবহেই সোমবার সকালে বিদেশমন্ত্রকে দেখা গেল মালদ্বীপের রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম শাহিবকে। তাঁর মুখেচোখে ছিল উদ্বেগের ছাপ। ফলে প্রশ্ন উঠছে, মোদি মন্তব্যে দিল্লির চাপে ঢোক গিলছে মালে।
সদ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘ভাঁড়’ বলে মন্তব্য করেন মালদ্বীপের মন্ত্রী। মোদির লাক্ষাদ্বীপ সফর ঘিরে এক্স হ্যান্ডেলে তাঁকে ‘ভাঁড়’,‘হাতের পুতুল’বলে তোপ দাগা হয়। তার পরেই সাসপেন্ড করা হয় তাঁকে। সেই সঙ্গে বহিষ্কার করা হয় আরও দুই মন্ত্রীকে। গোটা বিষয় নিয়ে মালদ্বীপ সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে ভারতীয় হাই কমিশন। এই প্রেক্ষাপটে মালদ্বীপের রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম শাহিবকে তলব করেছে সাউথ ব্লক বলে খবর। সেই মতোই আজ সেখানে উপস্থিত হয়েছেন শাহিব।
এদিকে, বিতর্কের মেঘ গাঢ় হতেই রবিবার সাফাই দেয় মালদ্বীপ। বিবৃতি দিয়ে সেদেশের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, “আমাদের সরকার বিষয়টি নিয়ে অবগত। সোশাল মিডিয়ায় বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের বিরুদ্ধে নানা অপমানজনক মন্তব্য ঘোরাফেরা করছে। তবে সেগুলো প্রত্যেকটাই ব্যক্তিগত মতামত। তার সঙ্গে মালদ্বীপ সরকারের কোনও সম্পর্ক নেই।” কিন্তু এই বিবৃতিতে চিঁরে ভেজেনি। তার পরই সোমবার মালদ্বীপের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে দিল্লি। এদিন সকালেই তড়িঘড়ি বিদেশমন্ত্রকে উপস্থিত হন মালদ্বীপের রাষ্ট্রদূত।
[আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে বড় জয় বিলকিস বানোর, ধর্ষকদের ফিরতে হবে জেলেই]
উল্লেখ্য, গত ৪ জানুয়ারি লাক্ষাদ্বীপ সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে সমুদ্র ও সমুদ্রসৈকতের ছবি পোস্ট করেন তিনি। তার পরেই প্রধানমন্ত্রীর ছবি নিয়ে একের পর এক কটাক্ষ শুরু করেন ‘চিনপন্থী’ মালদ্বীপের (Maldives) নেতা-মন্ত্রীরা। যুবকল্যাণ মন্ত্রী মারিয়ম শিউনা সটান ভাঁড় বলে কটাক্ষ করেন মোদিকে। লাক্ষাদ্বীপ সফরের ছবি দেখে মালদ্বীপের নেতা জাহিদ রামিজের দাবি করেন, “ভারতের সমুদ্রসৈকতগুলো তো আমাদের মতো পরিষ্কার নয়। ঘর থেকে দুর্গন্ধ আসে।” এর পরই নড়েচড়ে বসে ভারত। মালদ্বীপ সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে ভারতীয় হাই কমিশন। তার পরই সাসপেন্ড করে দেওয়া হয় মারিয়ম শিউনা ও দুই মন্ত্রী মালশা শরিফ ও মাহজুম মাজিদকে।
বলে রাখা ভালো, দ্বীপ রাষ্ট্রটির মন্ত্রীর এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই সোশাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে হ্যাশট্যাগ বয়কট মালদ্বীপ। দেশের পাশে দাঁড়িয়ে মালদ্বীপের (Maldives) সমস্ত বুকিং বাতিল করেছে ইজ মাই ট্রিপ। অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সিটির তরফে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) লাক্ষাদ্বীপ সফর ঘিরে মালদ্বীপের সোশাল মিডিয়ায় নানা অপমানজনক মন্তব্য করা হয়েছে। তাই মালদ্বীপের কোনও বুকিং করবে না সংস্থাটি। অন্যদিকে, মালদ্বীপে না গিয়ে লাক্ষাদ্বীপে ছুটি কাটানোর পক্ষে সওয়াল করছেন দেশবাসী। সেই তালিকায় রয়েছেন বলিউড তারকা থেকে ক্রিকেটাররাও।