সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে থাবা উঁচিয়ে ‘ড্রাগন’, অন্যদিকে রক্তলোলুপ জেহাদিরা। সুরক্ষায় ফোকর থাকলেই আক্রান্ত হবে ভারতের সার্বভৌমত্ব। তাই সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরায় রয়েছেন ভারতীয় জওয়ানরা। যে কোনও আগ্রাসন থামিয়ে দেওয়ায় পূর্ণ সক্ষম তাঁরা। তবে পরিস্থিতি পালটেছে। আধুনিক হয়েছে যুদ্ধাস্ত্র। পালটেছে রণকৌশল। তাই সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আরও দক্ষ হয়ে উঠছে সেনাবাহিনী। এবার ভারতীয় সেনাকে আরও এক কদম এগিয়ে দিতে অস্ত্র ভাণ্ডারে যোগ হচ্ছে অত্যাধুনিক অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র ‘মিলান 2T ’।
[প্রকাশ্যে এল দেশের প্রথম চালকবিহীন ট্যাঙ্ক ‘মুন্ত্রা’, যার কাছে কাবু পরমাণু অস্ত্রও]
জানা গিয়েছে, ফ্রান্সের কাছ থেকে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার বিনিময়ে ৩ হাজার অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল ‘মিলান 2T ’ কেনার ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। সম্প্রতি এই নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে ভারতীয় সেনার কমপক্ষে ৭ হাজার অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল প্রয়োজন। থার্ড জেনারেশনের অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল সেনার হাতে আসার আগে আপাতত ‘মিলান 2T’ দিয়ে কাজ চালানো হবে। ফরাসি ভাষায় মিলান শব্দের অর্থ ঘুড়ি। অন্যদিকে, মঙ্গলবার থেকে আরব সাগর সংলগ্ন এলাকায় সর্ববৃহৎ উপকূল প্রতিরক্ষা মহড়া ‘সি ভিজিল’ শুরু করল ভারতীয় নৌসেনা। প্রায় ৭,৫১৭ কিলোমিটার জুড়ে এই মহড়া ২৬/১১ মুম্বই সন্ত্রাসের পর এই প্রথম হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ফ্রান্স থেকে ইতিমধ্যে ৩৬টি অত্যাধুনিক রাফালে যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি হয়েছে ভারতের। তা নিয়ে দেখা দিয়েছে বিতর্ক। দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। এমনই পরিস্থিতিতে ফের সেই ফ্রান্সের সঙ্গে অস্ত্রচুক্তিতে বিতর্ক উসকে উঠতেই পারে। তবে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, স্থলযুদ্ধে সেনার মেরুদণ্ড হচ্ছে ট্যাঙ্ক বাহিনী। মাটি কাঁপিয়ে যখন শয়ে শয়ে ট্যাঙ্ক আক্রমণ করে, তখন অতি বড় শত্রুরও বুক কেঁপে উঠে। এই মুহূর্তে ভারতের হাতে রয়েছে রুশ নির্মিত T72, T90, ভীষ্ম ও অর্জুন ট্যাঙ্ক। পাকিস্তান ও চিনের ট্যাঙ্কগুলিকে নিরাপদ দূরত্ব থেকেই ধ্বংস করে দিতে ব্যবহার করা হবে ‘মিলান 2T’ ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে।
[জন্মজয়ন্তীতে নেতাজিকে স্মরণ, দেশনায়ককে শ্রদ্ধা মোদি-মমতার]
The post পুড়ে খাক হয়ে যাবে চিন-পাকিস্তানের ট্যাঙ্ক, নয়া অস্ত্রে বলীয়ান সেনা appeared first on Sangbad Pratidin.