সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের বালাকোটের জাবা পাহাড়ে রাতের অন্ধকারে জইশ জঙ্গিদের ঘাঁটি ধ্বংস করতে সফল অভিযান চালিয়েছিল ভারতের বায়ুসেনা। বায়ুসেনার ১২টি মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমানকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে গাইড করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, তাদের নিরাপত্তা দেওয়া এবং শত্রু বিমানবহরের গতিবিধির উপর কড়া নজর রাখার ক্ষেত্রে দু্র্দান্ত কাজ করেছিল অ্যাওয়াকস্। পুরো নাম, ফ্যালকন ‘এয়ারবোর্ন আর্লি ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম’ (AWACS)।
[আরও পড়ুন: ফের চোখ রাঙাচ্ছে চিন, সীমান্তে ইগলা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম মোতায়েন করল ভারত]
একটি যাত্রীবাহী বিমানের মাথায় ব্যাঙের ছাতার মতো দেখতে বিশাল চকচকে ধাতব ছাতা থাকে এই বিমানের মাথায়। আসলে এটি অত্যাধুনিক রেডার। সাধারণ মানুষ যাকে ‘ছাতা লাগানো যুদ্ধবিমান’ হিসেব চেনে, বায়ুসেনা তাকেই আদর করে ডাকে ‘আকাশের চোখ’। আসলে এ চোখ বা নজর এড়িয়ে কোনও শত্রু বিমানের গোপন উড়ান সম্ভব নয়। তেমনি নিজস্ব বিমানবাহিনীর বিমানকে লক্ষ্যভ্রষ্ট হতেও দেয় না আওয়াকস। রাশিয়ার তৈরি আইএল ৭৬ মডেলের অতি পরিচিত পরিবহণ বিমানে বসানো হয় ইজরায়েল থেকে কেনা ছাতার মতো দেখতে আওয়াকস রেডার। তখন পুরোটাই আওয়াকস রেডার গাইডেড প্লেন-এ পরিণত হয়। চিন সীমান্তে পিপলস লিবারেশন আর্মির বিমানবহর গুলির ওঠানামা, উড়ান, মোতায়েন সব কিছুর উপরেই কড়া নজর রাখবে এই আওয়াকস। তাই ইজরায়েল থেকে এরকম দু’টি ফ্যালকন অ্যাওয়াকস কেনার বরাত দিচ্ছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে বর্তমানে তিনটি ফ্যালকন অ্যাওয়াকস রয়েছে। চিনের সম্ভাব্য বিমান হামলা রুখতে আকাশ প্রতিরক্ষা মজবুত করতে জোর দিচ্ছে সরকার। তাই ২০০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের নানা সরঞ্জাম কেনার বরাত দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে শুধু ১০০ কোটি মার্কিন ডলার খরচ করে ইজরায়েল থেকে কেনা হচ্ছে অত্যাধুনিক দু’টি অ্যাওয়াকস। ওই ২০০ কোটি ডলার বাজেটের মধ্যে কেনা হচ্ছে ২০০টি ট্যাকটিকাল ড্রোন। এই ড্রোনগুলি ব্যবহার করবেন লাদাখে ও হিমালয় পর্বত সংলগ্ন চিন সীমান্তে মোতায়েন ভারতীয় সেনারা। সূত্রের খবর, এতদিন ধরে চিনা সেনার গতিবিধির উপর নজরদারি চালাতে ইজরায়েলের তৈরি হেরন ড্রোন ব্যবহার করেন ভারতীয় সেনারা। এরকমই বেশ কিছু হেরন ড্রোন কিনতে চলেছে ভারত। এই ড্রোনগুলির আরও আধুনিকীকরণ করা হয়েছে। চিন সীমান্তে সাসের লা হিমাবাহের পাশ দিয়ে যে সড়ক নির্মাণ করছে ভারতীয় সেনাবাহিনী সেখানে পাহারা ও নজরদারির কাজে লাগানো হবে হেরন ড্রোনগুলিকে। অন্যদিকে, ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি ‘নেত্র’ নামের ফ্যালকন রাডারের থেকে ইজরায়েলের অ্যাওয়াকস রাডারের দক্ষতা, কাজের পরিধি এবং প্রযুক্তি অনেক উন্নত মানের।
[আরও পড়ুন: গালওয়ানের সংঘর্ষ ‘দুর্ভাগ্যজনক ও বিক্ষিপ্ত ঘটনা’, বরফ গলাতে কৌশলী চাল চিনা রাষ্ট্রদূতের]
The post ভারতের ‘চোখ’ এড়াতে পারবে না লালফৌজ, আসছে ইজরায়েলের ‘AWACS’ appeared first on Sangbad Pratidin.