ভারত: ৩২৯ ও ১২৪/২
ইংল্যান্ড: ১৬১
দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টেস্ট ক্রিকেটে মাত্র ২৯টা ডেলিভারির মধ্যে পাঁচটা উইকেট তুলে নিতে পারলে কোন বোলার না খুশি হন? আর তিনি যদি সেই ম্যাচের আগে প্রায় গোটা বিশ্ব ক্রিকেটের সমালোচনার টার্গেট হয়ে থাকেন, তাহলে এহেন সাফল্যের দিন তাঁর খোশমেজাজটা কোন মাত্রায় পৌঁছে যেতে পারে? উত্তর পেতে রবিবার ট্রেন্টব্রিজ টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলার শেষে হাইপ্রোফাইল সঞ্চালক নাসের হোসেনকে দেওয়া হার্দিক পাণ্ডিয়ার টিভি ইন্টারভিউ যথেষ্ট।
[অনবদ্য বজরং পুনিয়া, জাকার্তা এশিয়ান গেমসে ভারতের ঝুলিতে প্রথম সোনা]
খেলা শেষে ভারতীয় দলের ট্র্যাকশুট গায়ে আবির্ভূত দিনের নায়ক হার্দিক কোনও রাখঢাক না করে বলে দিলেন, “আমার সম্পর্কে কে কী বলছেন সেসব ভেবে তো আর খেলা সম্ভব নয়। এদিনও সেসব মাথায় না নিয়েই খেলেছি। টেস্টে এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেলে কার না আনন্দ হয়। আমারও হচ্ছে। কিন্তু আমি বেশি খুশি, আমার উপর দলের বিশ্বাসকে মূল্য দিতে পেরেছি বলে। টিম ম্যানেজমেন্ট আমার উপর যে ভরসা রেখেছে তার মর্যাদা দিতে পেরেছি ভেবে আসল ভাল লাগছে।”
হার্দিকের কাছে প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জানতে চান, তিনি এদিন কোন মানসিকতা নিয়ে বল করতে এসেছিলেন? ইংল্যান্ড ৫৪-০ থেকে তখন ৮৬-৩। ভারতের তিন স্পেশালিস্ট পেসারের মধ্যে ইশান্ত শর্মা দু’টো এবং জশপ্রীত বুমরা ততক্ষণে একটা উইকেট তুলে নিলেও ইংল্যান্ডের এক নম্বর ব্যাটসম্যান জো রুটকে ক্রমশ ক্রিজে জমাট দেখাচ্ছিল। “প্রথম ডেলিভারিতেই রুটকে আউট করতে পেরে আমার আত্মবিশ্বাস একলাফে দারুণভাবে বেড়ে গিয়েছিল আজ।” বলে দেন হার্দিক। সঙ্গে দ্রুত জুড়ে দেন, “ট্রেন্টব্রিজ উইকেটে বল এদিন খুব সুইং করছিল। আমি তাই সুইং করানোর উপর নজর দিয়েছিলাম। একইসঙ্গে লাইনটা ঠিকঠাক রাখতে চেয়েছি। ইশান্তের সঙ্গে আলোচনা করছিলাম মাঠে। ও আমাকে বলে, দেখিস যাতে বেলাইনে সুইং না হয়ে যায়। সুইং আর লেংথ-লাইন দু’টো ব্যাপারেই সমান নজর দিয়েছি আমি।”
স্ট্যাটসও দেখাচ্ছে, হার্দিক রবিবার ৫৪ শতাংশ ফুল লেংথ করেছেন। শর্ট ফেলেছেন মাত্র ১১ শতাংশ। যেটা প্রথম দু’টেস্টে তাঁর বোলিংয়ে ঠিক উলটো ছিল। বার্মিংহাম ও লর্ডসে ব্যর্থতার পর হার্দিকের অলরাউন্ডার তকমা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন
হরভজন। সঙ্গে বলেছিলেন তিনি কখনও কপিল দেব হতে পারবেন না। কিন্তু এদিনই কিংবদন্তি ভারতীয়র সঙ্গে একটি পরিসংখ্যান মিলিয়ে দিলেন পাণ্ডিয়া। ১৯৮১ মেলবোর্ন টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬.৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ৫টি উইকেট তুলে নিয়েছিলেন কপিল। রবিবার নটিংহামে অনেকটা সেই ছায়াই দেখা গিয়েছিল হার্দিকের মধ্যে। তাও মাত্র ৬ ওভারেই সে কাজ করেছেন তিনি। তবে পাণ্ডিয়াও জোর গলায় জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি কপিল দেব হতে চান না। হার্দিক পাণ্ডিয়া হওয়াই তাঁর লক্ষ্য।
[টালিগঞ্জকে উড়িয়ে দিয়ে লিগ জয়ের লড়াইয়ে ফিরল মোহনবাগান]
দ্বিতীয় দিনের শেষে ভারত যে জায়গায় রয়েছে, সেখান থেকে বিরাটদের জয়ই দেখছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। কারণ দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটাও মন্দ করেনি দল। আর জো রুট-বেয়ারস্টোরা অনবদ্য কোনও ইনিংস না খেললে এ টেস্ট টিম ইন্ডিয়ারই। আবহাওয়াও এখনও পর্যন্ত বিরাটদেরই পক্ষে। আর এ টেস্ট থেকে ভারতের বড় পাওনা দলের ক্রিকেটারদের মানসিকতা। সেটিই তাঁদের ঘুরে দাঁড়ানোর চাবিকাঠি।
The post নিন্দুকদের মুখে ছাই দিয়ে রেকর্ড হার্দিকের, চালকের আসনে টিম ইন্ডিয়া appeared first on Sangbad Pratidin.