সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত যক্ষ্মার (TB) সঙ্গে যুদ্ধে জিতবে ২০২৫ সালের মধ্যেই। নির্দিষ্ট লক্ষ্যের পাঁচ বছর আগেই দেশ থেকে মারণ রোগটিকে নির্মূল করতে সক্ষম হবে। করোনা আতঙ্কের মধ্যেই ঘোষণা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের (Harsh Vardhan)।
রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধি ও WHO’র সদস্য দেশের মন্ত্রীদের উদ্দেশে এবিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত ২০২৫ সালের মধ্যেই যক্ষ্মাকে দেশ থেকে নির্মূল করার দিকে এগিয়ে চলেছে। নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার পাঁচ বছর আগেই।’’
[আরও পড়ুন: এখনও চুক্তির বহু শর্ত পূরণ করেনি রাফালের নির্মাণকারী সংস্থা! চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট CAG’র]
তিনি আরও বলেন, ‘‘যক্ষ্মা সেই স্মরণাতীত কাল থেকেই রয়েছে এবং এই অসুখ গোটা বিশ্বের জনস্বাস্থ্যের জন্য অন্যতম প্রধান ক্ষতিকর রোগ। গত এক দশকে এর চিকিৎসায় অনেক উন্নতি হলেও, আজও বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ছোঁয়াচে মারণ রোগ হিসেবে চিহ্নিত এটি।’’ হর্ষ বর্ধন দাবি করেন সাহসী ও উদ্ভাবনী নীতি প্রয়োগ করে দেশ থেকে যক্ষ্মাকে বরাবরের জন্য তাড়াতে বদ্ধপরিকর সরকার।
[আরও পড়ুন: লকডাউনেও পরিচ্ছন্ন হয়নি গঙ্গার জল, অতীত জল্পনা উড়িয়ে জানাল কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড]
যক্ষ্মার প্রকোপ বাড়ার পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ যে দারিদ্র তাও মনে করিয়ে দেন তিনি। পাশাপাশি জানিয়ে দেন, অপুষ্টিই যক্ষ্মা রোগীর ক্ষেত্রে সবথেকে বড় ‘রিস্ক ফ্যাক্টর’। এর মোকাবিলায় ২০১৮ সালের এপ্রিল থেকে ৭৯০ কোটি টাকা ৩০ লক্ষ আক্রান্তের কাছে ‘ডিরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফারস ফর নিউট্রিনিশাল সাপোর্ট’-এর মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে। সাশ্রয়ী এবং সঠিক মানের যক্ষ্মার চিকিৎসা সরকারের কাছে অগ্রাধিকার পায় বলেও জানান তিনি।
বিভিন্ন দেশে যক্ষ্মার ইতিহাস নিয়ে গবেষণা হয়েছে। শিল্প বিপ্লবের পরবর্তী সময়ে বেড়েছে কারখানার সংখ্যা। এবং সেই সব কলকারখানাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বসতি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সেই সব বসতির অস্বাস্থ্যকর, ঘিঞ্জি পরিবেশে ছড়িয়ে পড়েছে যক্ষ্মার জীবাণু। প্রসঙ্গত, প্রতি বছর বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস পালিত হয় ২৪ মার্চ। ১৮৮২ সালে এই দিনেই জার্মান চিকিৎসাবিজ্ঞানী ড. রবার্ট কচ যক্ষ্মার জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়ার কথা ঘোষণা করেন।
The post ২০২৫ সালের মধ্যে পুরোপুরি যক্ষ্মামুক্ত হবে ভারত! ঘোষণা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর appeared first on Sangbad Pratidin.