সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাধারণ মানুষের দুয়ারে করোনার ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি করে ফেলেছে ভারত সরকার। আগামী ৬ থেকে ৮ মাসের দেশের প্রায় ৬০ কোটি মানুষের কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। এবং সেজন্য প্রয়োজনে ভোট প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত পরিকাঠামো এবং লোকবল ব্যবহার করতে পারে কেন্দ্র। এমনটাই জানাচ্ছেন নীতি আয়োগের সদস্য ভি কে পল।
দিন কয়েক আগেই সর্বদল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ঘোষণা করেছিলেন, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই করোনার টিকা সরকারের হাতে চলে আসবে। মোদির ঘোষণার পর সত্যি সত্যিই ভ্যাকসিন (Corona Vaccine) বাজারে আনার ব্যপারে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে ভারত সরকার। গত মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করা হয়েছে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কোনও না কোনও করোনার টিকায় ছাড়পত্র দেবে সরকার। শুক্রবার নীতি আয়োগের সদস্য তথা সরকারের কোভিড ম্যানেজমেন্ট টিমের প্রধান ভিকে পল (VK Paul) ঘোষণা করেছেন, আগামী ৬-৮ মাসের মধ্যে দেশের প্রত্যন্ত এলাকাতেও ৬০ কোটি মানুষের কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার মতো পরিকাঠামো তৈরি করে ফেলেছে ভারত। সরকারের যে কোল্ড স্টোরেজের পরিকাঠামো আছে, তাতেই প্রত্যন্ত এলাকায় ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া সম্ভব।
[আরও পড়ুন: ‘কৃষি আইন চাষিদের উন্নয়ন করবে’, তীব্র আন্দোলনের মধ্যেও নিজের বক্তব্যে অনড় মোদি]
ভি কে পল বলছেন, এই মুহূর্তে যে চারটি (সেরাম, জাইদাস ক্যাডিলা, ভারত বায়োটেক, স্পুটনিক ফাইভ) ভ্যাকসিন নিয়ে আমরা আশাবাদী, সেগুলির সবই সাধারণ কোল্ড স্টোরেজে (২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) সংরক্ষণ করা সম্ভব। এগুলি বিতরণ করতে আমাদের কোনও সমস্যা হবে না।” পল ইঙ্গিত দিয়েছেন, ভারতে ট্রায়াল না করলেও ফাইজারের ভ্যাকসিনকে সরকার ছাড়পত্র দিতে পারে। কিন্তু সেই ভ্যাকসিনটি সরকারের পক্ষে বিলি করা কঠিন। কারণ, এর জন্য প্রয়োজন -৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কোল্ড স্টোরেজের চেইন, একই সমস্যা মোডার্নার ক্ষেত্রেও। তবে, সরকার আগামী ছ’মাসের মধ্যে এই ধরনের কোল্ড স্টোরেজের চেইনও তৈরি করে ফেলতে চাইছে। আপাতত আশা, দেশিয় ভ্যাকসিনগুলিই। সেরাম (Serum Institute) ইতিমধ্যেই ব্যাপক হারে ভ্যাকসিন প্রস্তুত করা শুরু করেছে। ছাড়পত্র পেলেই বাজারে সরবরাহ করবে তারা।
কেন্দ্রের ওই আধিকারিক বলছেন, “আমরা অপেক্ষা করছি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভ্যাকসিন ছাড়পত্র পাক। কারণ সরবরাহ করতে প্রস্তুত সরকার।” ভি কে পলের ইঙ্গিত প্রথমে ৩০ কোটি ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার, ২৬ কোটি পঞ্চাশ বছরের বেশি বয়সি এবং ৫ কোটি কো-মর্বিডিটি যুক্ত মানুষকে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।