সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহাকুম্ভে বড়সড় দুর্ঘটনা। মৌনী অমাবস্যার 'অমৃতস্নান' উপলক্ষে হাজার হাজার মানুষের হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল অন্তত দশজনের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত্রি দুটো নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রচন্ড ভিড়ের চাপে ভেঙে যায় ব্যারিকেড। অন্তত দশ হাজার পুণ্যার্থী একসঙ্গে স্নান করতে যাওয়ার জেরেই এই দুর্ঘটনা। মর্মান্তিক খবর পেয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
![](https://mcmscache.epapr.in/mcms/434/a8a2c017e2b91afd0d2f9fd5d52ed44cbc32e704.jpg)
১৪৪ বছর পর বিরল ত্রিবেণী যোগ পড়েছে মহাকুম্ভে। বুধবার রাতে মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষে ছিল দ্বিতীয় পুণ্যস্নান। সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, রাত ২টো নাগাদ সঙ্গমে স্নানের উদ্দেশে জড়ো হন পুণ্যার্থীরা। ১০ হাজারের বেশি মানুষ একসঙ্গে স্নান করতে ভিড় জমান। তখনই ১১ থেকে ১৭ নম্বর খুঁটির মাঝে ভিড়ের চাপে ব্যারিকেড ভেঙে যায়। যার জেরেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। আশঙ্কা করা হচ্ছে এই ঘটনায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাসাপাশি আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। খবর পেয়ে আহতদের উদ্ধার করতে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। প্রবল ভিড়ের জেরে একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছেন আরও বহু মানুষ।
মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষে দ্বিতীয় পুণ্যস্নানে অন্তত ৫ কোটি মানুষ আসতে পারেন বলে মনে করছিল প্রশাসন। বিরাট সংখ্যার এই ভিড় নিয়ন্ত্রণে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের ভূমিকা কী ছিল দুর্ঘটনার পর তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ফোন করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে। সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর তরফে। এদিকে পরিস্থিতি বিবেচনা করে আখড়া পরিষদের তরফে আজ অমৃতস্নানে না যাওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে।
এই দুর্ঘটনার পর সোশাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, 'পুণ্যার্থীদের কাছে আমার আবেদন, মা গঙ্গার নিকটবর্তী যে ঘাটে আপনি রয়েছেন সেখানেই স্নান করুন। ত্রিবেণী সঙ্গমের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করবেন না। প্রশাসনের তরফে যে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে তা পালন করুন। প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করুন। সঙ্গমের ঘাটে শান্তিপূর্ণভাবে স্নানপর্ব চলছে। কোনও গুজবে কান দেবেন না।'