shono
Advertisement

শ্রীলঙ্কার নৌকায় মাদক-হাতিয়ার পাচার পাকিস্তানের, ধরল ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী

গত ১৭ নভেম্বর করাচি থেকে ওই নৌকাটি রওনা দেয়।
Posted: 02:55 PM Nov 25, 2020Updated: 02:55 PM Nov 25, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করাচি থেকে মাদক, অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আসা একটি নৌকাকে তামিলনাড়ু উপকূলের কাছে পাকড়াও করল ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী (Indian Coast Gurad)। ওই নৌকায় চাপিয়ে প্রায় ১০০ কিলোগ্রাম হেরোইন, ৫টি পিস্তল ও স্যাটেলাইট ফোন পাচার করছিল পাকিস্তান (Pakistan)। সবটাই যাচ্ছিল শ্রীলঙ্কা। সেখান থেকে ওই মাদক অস্ট্রেলিয়ায় পাচারের ছক ছিল।

Advertisement

[আরও পড়ুন: নজরে আরব দুনিয়া, বাহরাইনের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা জয়শংকরের]

পাকিস্তান থেকে মাদক ও অস্ত্র পাচার হওয়ার খবর আগেই পেয়েছিল ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। সেই মতো গত ১৭ নভেম্বর করাচি থেকে ‘Shenaya Duwa’ নামের ওই নৌকাটি রওনা দেয়। আগে থেকে খবর পাওয়ায় সমুদ্রে তক্কে তক্কেই ছিল ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী। জানা গিয়েছে, নৌকাটি সানি ফার্নান্ড নামের শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) এক ব্যক্তির নামে রয়েছে। সে দ্বীপরাষ্ট্রটির নেগেম্ব শহরের বাসিন্দা। জলযানটির ছয় সদস্যের চালকদলকে আটক করা হয়েছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাগুলি যৌথভাবে ধৃতদের জেরা করছে। উপকূলরক্ষী বাহিনীর এক আধিকারিক বলেন। সমুদ্রপথে সন্ত্রাস ছাড়াও নিয়মিত মাদক ও হাতিয়ার পাচার করছে পাকিস্তান।

উল্লেখ্য, আগামীকাল মুম্বই হামলার বর্ষপূর্তি। ফলে দেশজুড়ে রীতিমতো কড়া নজর রাখছে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে পাঠানো এক রিপোর্টে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি জানিয়েছে। মুম্বই হামলার ধাঁচে অনেকটা কাসভদের কায়দায় জলপথে সন্ত্রাসবাদী হামলার আশঙ্কা রয়েছে। পাকিস্তান থেকে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত এই জঙ্গিরা ‘সমুন্দরি জেহাদি’ নামেই পরিচিত। এছাড়াও, ভারতে শিকড় জমনোর চেষ্টা করছে ইসলামিক স্টেট বলেও খবর। দেশের দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে বেড়েছে ইসলামিক স্টেটের উপস্থিতি৷ কয়েকদিন আগেই মার্কিন হানায় নিহত হয় ইসলামিক স্টেটের কেরল শাখার প্রধান রশিদ আবদুল্লাহ৷ আফগানিস্তানে আমেরিকার বোমারু বিমানের হামলায় ওই জঙ্গি ছাড়াও মৃত্যু হয়েছিল আরও পাঁচ ভারতীয় জেহাদির৷শীর্ষ গোয়েন্দা আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কেরল ছাড়াও তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও জম্মু-কাশ্মীরে ইসলামিক স্টেটের ছায়া পড়ছে। মোবাইল লোকেশনের ঝামেলা এড়াতে ‘টেলিগ্রাম’ নামের একটি মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে খবর আদানপ্রদান করছে জঙ্গিরা। এক শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকের বক্তব্য, গত কয়েক বছরে শুধু কেরলেরই ১০০ জন বাসিন্দা ইসলামিক স্টেটে (Islamic State) যোগ দিয়েছে।

[আরও পড়ুন: ধর্ষকদের লিঙ্গচ্ছেদ করা হবে পাকিস্তানে, নয়া আইন আনতে চলেছে ইমরান সরকার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement