সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অতিমারীর প্রকোপে বেসালাম ভারত। প্রতিদিনই উর্ধ্বমুখী আক্রান্ত ও মৃতের গ্রাফ। তারই মধ্যে সিরো সার্ভের রিপোর্ট উদ্বেগ বাড়িয়েছিল দিল্লিবাসীর। দিল্লি সরকার ও ‘National Center for Disease Control’-এর এই সমীক্ষায় জানা যায় গত ৬ মাসে দিল্লির ২৩.৮৪ শতাংশ মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন৷ অর্থাৎ রাজধানীর ২ কোটি মানুষের মধ্যে সংক্রমিত প্রায় ৪৭ লক্ষই। এবার থাইরোকেয়ার (Thyrocare) নামের একটি বেসরকারি ল্যাব গোটা দেশের যে ডেটা তুলে ধরল, তা দেখে আঁতকে উঠছে চিকিৎসক মহল। ডেটায় বলা হয়েছে, দেশের ১৫ শতাংশ মানুষই ইতিমধ্যেই এই মারণ ভাইরাসে (coronavirus) আক্রান্ত!
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের (ICMR) তরফে এ দেশে দু’রকম টেস্টিংয়ের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। একটি RT-PCR টেস্ট এবং অন্যটি অ্যান্টিবডি টেস্ট। সরকারি ল্যাবের পাশাপাশি কেন্দ্র অনুমোদিত বেশ কিছু বেসরকারি ল্যাবেও এই করোনা চিহ্নিতকরণের পরীক্ষা হয়ে থাকে। তেমনই একটি ল্যাব হল থাইরোকেয়ার। যারা ৬০ হাজার টেস্টের ডেটা প্রকাশ্যে এনেছে। আর সেখান থেকেই হিসেব করে তারা জানাচ্ছে, ইতিমধ্যেই ভারতের ১৫ শতাংশের শরীরে হয়তো থাবা বসিয়েছে করোনা। এবং অজান্তে বিদায়ও নিয়েছে। তাঁদের শরীরে অ্যান্টিবডিও তৈরি হয়ে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ম্যালেরিয়া-ডেঙ্গু রোধে এবার ‘মসকুইটো ভ্যাকসিন’ আনছে অক্সফোর্ড]
ওই ল্যাবের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এ ভেলুমানি টুইট করে জানান, “করোনার ছবিটা ৯০ শতাংশ সামনেই আসেনি। ৯ শতাংশ এসেছে। যে ক্ষেত্রে কোনও উপসর্গ নেই। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। তাই অজান্তেই করোনা কামড় বসিয়ে ফিরেও গিয়েছে। ০.৯ শতাংশের উপসর্গ রয়েছে। প্রতিরোধ ক্ষমতাও তুলনামূলক কম। কিন্তু টেস্ট না হওয়ায় তাঁরাও জানতে পারেননি কখন আক্রান্ত হয়ে সুস্থও হয়ে গিয়েছেন। ০.০৯ শতাংশের আবার প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। টেস্টে করোনা পজিটিভও এসেছে এবং হাসপাতালে ভরতির পর সুস্থ হয়েছেন। আর বাকি ০.০১%-এর প্রতিরোধ ক্ষমতা না থাকায় করোনাকে এঁরা জয় করতে পারেননি।”
এর পাশাপাশি তিনি ৫৩ হাজার টেস্টের ডেটা প্রকাশ করে বলেন, এখান থেকেই হিসেব করে দেখা যাচ্ছে, দেশে ইতিমধ্যেই ১৮ কোটি মানুষের মধ্যে নীরবে অদৃশ্য ভাইরাস প্রবেশ করে অজান্তেই বেরিয়ে গিয়েছে। এবং তাঁদের শরীরে তৈরি হয়েছে অ্যান্টিবডি। অর্থাৎ এই ভাইরাস তাঁদের শরীরের আর ক্ষতি করতে পারবে না। অনেকেই অবশ্য এত বড় সংখ্যা হিসেবের ক্ষেত্রে এই ডেটার উপর সম্পূর্ণ বিশ্বাস রাখতে পারছেন না। তবে ভেলুমানির মতে, তাঁরা ১৫ শতাংশ পজিটিভ কেসই পেয়েছেন। তাই এ বিষয়ে সন্দেহের কোনও জায়গা নেই।
[আরও পড়ুন: শুধু ‘কোভ্যাক্সিন’ নয়, করোনার ‘প্রতিষেধক’ তৈরির দৌড়ে এগিয়ে দেশের সাতটি সংস্থা]
The post দেশের ১৮ কোটি মানুষই অজান্তে করোনা আক্রান্ত! তৈরি হয়েছে অ্যান্টিবডিও, দাবি টেস্টিং ল্যাবের appeared first on Sangbad Pratidin.