সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি লাগাতার ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ছিলই। অসমে বন্যায় অসংখ্য মানুষের ম়ৃত্যু হয়েছে। এখনও ঘরছাড়া কয়েক লক্ষ। এর মধ্যেই ভয়াবহ ধসে (Landslide) মণিপুরে (Manipur) মৃত্যু হল ৭ জনের। ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৩ জন। গ্রামবাসী, সেনা, রেলকর্মী-সহ কমপক্ষে ৪৫ জন নিখোঁজ বলে জানা গিয়েছে।
বুধবার রাতে ধস নামে টুপুল (Tupul) স্টেশনের কাছে ভারতীয় সেনার ১০৭ টেরিটোরিয়াল আর্মির ক্যাম্পে। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে অনেকেই সেনা জওয়ান। তাঁরা এলাকার গুরুত্বপূর্ণ রেললাইন নির্মাণকাজ পাহারায় ছিলেন। ঘটনার পরেই উদ্ধারকাজে শুরু হয়ে যায়। সেনা, রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে উদ্ধারকাজে লেগে পড়েন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা।
[আরও পড়ুন: দেশকে শান্তির বার্তা দিন, না হলে আসবে না বিদেশি বিনিয়োগ, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আরজি কংগ্রেসের]
জানা গিয়েছে, আহত ১৩ জনকে ননে সেনা মেডিক্যাল ইউনিটে ভরতি করা হয়েছে। খারাপ আবহাওয়া ও বারবার ধস নামার জন্য উদ্ধারকাজে অসুবিধা হচ্ছে। এদিকে ধসের মাটি-পাথর পাশের ইজেই নদীতে পড়ে জলধারার অভিমুখ আটকে দিয়েছে বলে খবর। জলের চাপ সামলাতে না পেরে ওই মাটি-পাথর সরে গেলে নতুন করে বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর।
এদিনের ধসে সেনার পাশাপাশি বেশ কয়েকজন রেলকর্মী ও গ্রামবাসীদের খোঁজ মিলছে না। তাঁরা ধসের তলায় চাপা পড়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিকে এলাকায় লাগাতার বৃষ্টি চলছে। ফলে নতুন করে বড়সড় ধসের আশঙ্কা করছে প্রশাসন। এই বিষয়ে সতর্ক করা হচ্ছে স্থানীয়দের। বিপর্যয় মোকাবিলায় তৈরি রাখা হচ্ছে যাবতীয় ব্যবস্থা।
[আরও পড়ুন: চলন্ত অটোতে আগুন, ঝলসে মৃত্যু ৫ যাত্রীর, ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য ঘোষণা সরকারের]
মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং ( N Biren Singh) টুইট করে জানিয়েছেন, “পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকা হয়েছে। উদ্ধারকাজ চলছে। সকলে প্রার্থনা করুন যাতে করে সঠিকভাবে উদ্ধারকাজ সম্পূর্ণ করা যায়। ইতিমধ্যে টিপুলে অ্যাম্বুলেন্স-সহ চিকিৎসক দল পাঠানো হয়েছে।” এদিকে এই ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী ও রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র অমিত শাহ (Amit Shah)।