নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: সংসদে ফের বিরোধী কন্ঠরোধের চেষ্টা! মূল্যবৃদ্ধি, টাকার দামের পতনের মতো ইস্যু নিয়ে সরব হতেই ফের সাসপেন্ড হলেন বিরোধী সাংসদরা। এবার সাসপেন্ড হলেন রাজ্যসভার (Rajya Sabha) ১৯ জন বিরোধী সাংসদ। তার মধ্যে রয়েছেন সাত জন তৃণমূল সাংসদও (TMC MP)। চলতি সপ্তাহে তাঁরা আর বাদল অধিবেশনে অংশ নিতে পারবেন না। মঙ্গলবার সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ এবং রাজ্যসভায় হই হট্টগোলের জন্য সাংসদদের সাসপেন্ড করা হল বলে সংসদ সূত্রে খবর। সোমবারই কংগ্রেসের ৪ সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল।
এদিন সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের মধ্যে রয়েছেন দোলা সেন, শান্তনু সেন, মৌসম নূর, শান্তা ছেত্রী, নাদিমূল হক, আবিররঞ্জন বিশ্বাস এবং সুস্মিতা দেবরা। এছাড়া ডিএমকে ও বাম সাংসদও রয়েছেন। তাঁরা সংসদের উচ্চকক্ষে মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রস্ফীতি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্রমাগত স্লোগান দিচ্ছিলেন। ওয়ালে নেমে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা।
[আরও পড়ুন: এবার মেট্রো স্টেশনে দাঁড়িয়েই চায়ে চুমুক, খুলছে নতুন দোকান]
বিরোধী সাংসদদের এই আচরণকে ‘নিয়ম বিরুদ্ধ’ তকমা দিয়ে তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে খবর। সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের মধ্যে তৃণমূলের সাত জন ছাড়া রয়েছেন ডিএমকের তিন সাংসদ- এম এম আবদুল্লা, ডি এল যাদব এবং রাম। এছাড়া একাধিক বাম সাংসদও এই তালিকায় রয়েছেন।
সাসপেনশনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। টুইটারে মোদি সরকারকে তাঁদের কটাক্ষ, “আমাদের সাসপেন্ড করতে পারেন। কিন্তু চুপ করাতে পারবেন না। সাংসদরা মানুষের সমস্যা তুলে ধরলেই সাসপেন্ড করা হচ্ছে। এভাবে আর কতদিন চলবে?” তৃণমূলের দাবি, ”এভাবে সংসদের পবিত্রতার সঙ্গে আপস করা হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, বাদল অধিবেশনের আগে সংসদ চত্বরে ধরনা, বিক্ষোভ কর্মসূচি করা যাবে না বলে কার্যত ‘ফতোয়া’ জারি করা হয়েছিল। কিন্তু বিরোধীরা হেলায় তা উড়িয়েছেন। সংসদ অধিবেশনের শুরুর দিনই নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর উপর জিএসটি (GST) বসানোর প্রতিবাদে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে পোস্টার হাতে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন সাংসদরা। শামিল ছিলেন তৃণমূলের একাধিক সাংসদও। গতকাল অর্থাৎ সোমবার সংসদ চত্বরে ধরনা দেওয়ায় লোকসভার ৪ কংগ্রেস সাংসদকেও সাসপেন্ড করেন স্পিকার। চলতি বাদল অধিবেশনে আর অংশ নিতে পারবেন না তাঁরা।