কিংশুক প্রামাণিক, শিলং: এ যেন ‘বাংলা নিজের মেয়েকে চায়’ স্লোগানেরই প্রতিফলন মেঘের রাজ্যে। মেঘালয়কে শাসন করবে মেঘালয়ই – এমনই বক্তব্য দিয়ে মঙ্গলবার শিলংয়ে (Shillong) কর্মিসভা শুরু করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তাঁর কথায়, ”গুয়াহাটি নয়, মেঘালয়কে শাসন করবে মেঘালয়ই। বাংলায় যদি পরিবর্তন আসতে পারে, তাহলে মেঘালয়ে কেন হবে না?” একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় প্রচারে নতুন সুর বেঁধেছিল তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে তাঁদের স্লোগান ছিল – ‘বাংলা নিজের মেয়েকে চায়।’ ‘মেঘালয়ে শাসন করবে মেঘালয়ই’, অভিষেকের মুখে এই বক্তব্যে তারই সঙ্গে কোথাও যেন মিল খুঁজে পাওয়া গেল।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে মেঘালয়ে বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election in Meghalaya)। তার মাস দুই আগে তৃণমূল সুপ্রিমো ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের তিনদিনের শিলং সফরে প্রচারের ঘণ্টা বেজে গেল। মঙ্গলবার শিলংয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে কর্মী সম্মেলনে পরিবর্তনের ডাক দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে বিরোধী হিসেবে ঘাসফুল শিবির শক্তিশালী হয়ে ওঠার পর থেকেই সংগঠনে বাড়তি নজর দিচ্ছিলেন তিনি। ঘর গোছানোর কাজটা এতদিন নীরবেই করেছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সেই সবুজ খেতে আরও সার ঢালতেই সোমবার দুপুরে শিলং পৌঁছন মমতা-অভিষেক একসঙ্গে। এই প্রথম দলের দুই শীর্ষনেতানেত্রীর ভিনরাজ্যে যৌথ রাজনৈতিক সফর।
[আরও পড়ুন: অভিযুক্ত সিবিআই আধিকারিকদের শাস্তি না হলে লালনের দেহ নিতে অস্বীকার, CID তদন্তের দাবি স্ত্রীর]
মঙ্গলবার কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রথমেই বাংলার পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে মেঘালয়ে রাজনৈতিক বদলের ডাক দিলেন অভিষেক। তাঁর বক্তব্য, ”আগামী ২ মাস আমরা লড়াইয়ের মাটি কামড়ে থাকব। আপনাদের জন্য আপনাদেরই স্বার্থে আমরা লড়ব। মেঘালয়ের হারানো সম্মান ফিরিয়ে দেওয়া আমাদের লক্ষ্য। এই যে সীমানা সমস্যার জেরে অসম পুলিশের গুলিতে ৫ নিরীহ, সাধারণ মানুষের মৃত্যু হল, তা কি কাম্য ছিল? ডবল ইঞ্জিন সরকার কী কাজ করেছে এখানে? শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থ ছাড়া কেউ এই রাজ্যের জন্য ভাবেনি। তবে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)আলাদা। আমাদের নেত্রীর কড়া নির্দেশ, মানুষের জন্য লড়তে হবে। আমরা সেই নির্দেশ মেনে লড়াই চালিয়ে যাব।”
[আরও পড়ুন: পরিচয় লুকিয়ে হিন্দু মেয়েকে বিয়ের ছক, ধর্মান্তকরণের চেষ্টার অভিযোগে হাজতে মুসলিম যুবক]
এরপর অভিষেকের আরও ব্যাখ্যা, ”আপনারা দেখেছেন আমাদের দলের প্রতীক – দুটি ফুল, তিনটি করে পাপড়ি। এই তিন পাপড়ি মেঘালয়ের তিনটি পাহাড় – গারো, খাসি, জয়ন্তিয়ার প্রতীক। এই তিন পাহাড়ে ঘাসফুল ফুটবেই। আগামী ফেব্রুয়ারিতে পরিবর্তন আসন্ন। বাংলা পারলে মেঘালয় কেন পারবে না?”