shono
Advertisement
Ahmedabad Plane Crash

আহমেদাবাদ দুর্ঘটনায় প্রশ্নের মুখে তদন্তপ্রক্রিয়া, পাইলটদের ভুলের তত্ত্ব খারিজ প্রাক্তন বায়ুসেনা কর্তার

Published By: Subhodeep MullickPosted: 10:52 AM Jul 13, 2025Updated: 02:51 PM Jul 13, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবার আহমেদাবাদ দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু তারপরই তা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে বিতর্ক। রিপোর্টটি নিয়ে শনিবার সন্দেহ প্রকাশ করেছিল পাইলটদের সংগঠন এয়ারলাইন পাইলট অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (আলপা)। এবার একই পথে হেঁটে দুর্ঘটনার তদন্তপ্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

Advertisement

বায়ু সেনার প্রাক্তন পরিচালক সঞ্জীব কাপুর রিপোর্টটির কড়া সমালোচনা করে বলেন, “কোনও পাইলট এমনি এমনি ‘মে ডে কল’ করেন না। ‘মে ডে’-এর অর্থ গুরুতর কিছু ঘটেছে। এতে কোনও সন্দেহ নেই যে বিমানের দুটি ইঞ্জিনই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কী কারণে বন্ধ হয়ে গেল, তা ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়নি। একজন সুস্থ পাইলট কেন ইচ্ছাকৃতভাবে বিমানের ‘ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচ’ বন্ধ করে দেবেন?” গোটা রিপোর্টটিকে তিনি ‘সন্দেহজনক’ এবং ‘অসম্পূর্ণ’ বলেও অভিহিত করেছেন। সঞ্জীব আরও বলেন, “রিপোর্টটি ২০ প্রকাশ করতে তদন্তকারীদের ২০ দিন সময় লেগে গেল। এটা কীভাবে সম্ভব? শুধু তাই নয়, তদন্তকারীদের হাতে যে পরিমাণ তথ্য ছিল, তাতে রিপোর্টটি আরও বিশদ হওয়া উচিৎ ছিল। কিন্তু তা হয়নি।”  

বিমান দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট বলছে, দুর্ঘটনার ঠিক আগের মুহূর্তে দুই ইঞ্জিনের জ্বালানিই ‘রান’ (চালু) থেকে কাটঅফ (বন্ধ) মুডে চলে যায়। ইঞ্জিন বন্ধের ঠিক আগের মুহূর্তে একজন পাইলট অপরজনকে বলেন, ‘ইঞ্জিন বন্ধ করলে কেন?’ অপর পাইলট জবাব দেন, ‘আমি কিছু বন্ধ করিনি।’ ইঞ্জিন বন্ধের পর জরুরি ভিত্তিতে RAT (র‍্যাম এয়ার টার্বাইন) চালু করা হয়। এই RAT ইঞ্জিনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়। বিমান ওড়ার সময়ে জ্বালানি ঠিকঠাক ছিল। বিমান ওড়ার সময়ে ফ্ল্যাপ সেটিং এবং গিয়ারের অবস্থাও স্বাভাবিক ছিল। সেগুলি সঠিকভাবে পরীক্ষাও করা হয়। সব মিলিয়ে যা যা প্রাথমিক রিপোর্টে এসেছে তাতে বিমানের যান্ত্রিক গোলযোগের থেকে পাইলটদের ভুলের দিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, শনিবার পাইলটদের সংগঠন এয়ারলাইন পাইলট অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার (আলপা) প্রেসিডেন্ট স্যাম থমাস একটি বিবৃতি জারি করে বলেন, “তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে পাইলটের ভুলের দিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে। আমরা এই অনুমানকে প্রত্যাখ্যান করি। তাছাড়া তদন্তের গোপনীয়তা দেখেও আমি অবাক।” একটি সুষ্ঠু এবং তথ্য-ভিত্তিক তদন্তের দাবি জানিয়ে স্যাম বলেন, “গোটা তদন্ত প্রক্রিয়াতে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। তদন্তের প্রতিটি ক্ষেত্রে এত গোপনীয়তা থাকার ফলে এর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও আমাদের প্রশ্ন রয়েছে। অভিজ্ঞ বিমানকর্মী এবং পাইলটদের এই তদন্তে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • শনিবার আহমেদাবাদ দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে।
  • কিন্তু তারপরই তা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে বিতর্ক।
  • এবার দুর্ঘটনার তদন্তপ্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
Advertisement