সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একেই হয়তো বলে প্রদীপের নীচে অন্ধকার! বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে বারবার তুলোধোনা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ঠিক তখনই প্রকাশ্যে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। খোদ বিজেপি নেতাই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। ভুয়ো নথি বানিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এ দেশে থাকছিলেন। এমনকী, গেরুয়া শিবিরে পদাধিকারীও ছিলেন তিনি। এই কাণ্ডে বেজায় বিপাকে বিজেপি (BJP)। প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রের এই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ বিতর্কে জড়িয়ে গিয়েছে বাংলার নামও।
উত্তর মুম্বইয়ের সংখ্যালঘু সেলের প্রধান রুবেল জনু শেখ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী বলে জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ (Anil Deshmukh)। ২০১১ সাল থেকে মুম্বইয়ের বাসিন্দা রুবেল। অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমেই তাকে গ্রেপ্তার করে মুম্বই পুলিশ। পরিচয়পত্র হিসেবে আধার, প্যান কার্ড ছিল তার কাছে। সেই নথি পরীক্ষা করতে গিয়ে মাথায় হাত পুলিশের।
[আরও পড়ুন : ফের এনকাউন্টার যোগীরাজ্যে, পুলিশের গুলিতে খতম কাশগঞ্জ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মোতি সিং]
মু্ম্বই পুলিশ সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনার মালপোতা গ্রাম পঞ্চায়েতে নিজের আদি বাড়ি রয়েছে, এই পরিচয় দিয়ে নথি তৈরি করেছিলেন রুবেল। সেখানকার এক স্কুলের মাধ্যমিকের সার্টিফিকেট জমা করেছিলেন। সেই ঠিকানার তদন্তে নেমে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়ে। দেখা যায়, মালপোতা গ্রামে রুবেল নামে কেউ থাকতেন না। এমনকী, স্কুলের সার্টিফিকেটটিও সম্পূর্ণ ভুয়ো। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপিকে তুলোধোনা করেছে বিরোধীরা।
এ প্রসঙ্গে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ জানিয়েছেন, রুবেল অবৈধভাবে এ দেশে বসবাস করছিল। এ সংক্রান্ত যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে পুলিশের হাতে। একইসঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, “বিজেপি কি নিজের দলের নেতাদের নথি যাচাই করে না?” এই ইস্যুতে বিজেপিকে ব্যঙ্গ করেছে এনসিপি, কংগ্রেসও। মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের মুখপাত্র শচীন সাওয়ান্তের প্রশ্ন, “নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে কি বিজেপি কর্মীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করেছেন অমিত শাহ?”
তীব্র কটাক্ষের মুখে বিজেপির সহ-সভাপতি চিত্রা ওয়াঘের সাফাই, “অন্যায়কে সমর্থন করবে না দল। রুবেল অন্যায় করে থাকলে তার বিরুদ্ধে যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” কিন্তু এনসিপি, কংগ্রেসের অন্দরে থাকা এমন অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের আটক করতে সক্রিয় হোক মহারাষ্ট্র পুলিশ।