সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাত পোহালেই ভারতে বহুচর্চিত জি-২০ সম্মেলন (G-20 Summit)। নয়াদিল্লির বুকে বসতে চলেছে চাঁদের হাট। ইতিমধ্যেই সামিটে যোগ দিতে একে একে ভারতে আসতে শুরু করেছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও প্রতিনিধিরা। অতিথিদের উদ্দেশে বিশেষ স্বাগত বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur)।
শুক্রবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের দপ্তর থেকে অভ্যাগতদের উদ্দেশে এক্স (X) হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, “জি-২০ সামিটের সকল অতিথিদের ভারতে স্বাগত। বিভিন্ন দেশকে নিয়ে এক স্মরণীয় সম্মেলন হতে চলেছে।” দেশের মাটিতে পা রাখতে শুরু করেছেন রাষ্ট্রপ্রধানেরা। বুধবার সস্ত্রীক ভারতে পৌঁছেছেন ব্রিটিশ (UK) প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। শুক্রবার এসেছেন রাশিয়ার (Russia) বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ, জাপানের (Japan) প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা, রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, ওমানের প্রধানমন্ত্রী হাইথাম বিন তারিক আল সাইদ, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবের্তো ফার্নান্দেজ। আসবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট (US President) জো বাইডেন, ফ্রান্সের (France) প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো-সহ অন্যান্য রাষ্ট্রনেতারা।
[আরও পড়ুন: G-20: দেশে ‘খর্ব’ মৌলিক স্বাধীনতা, মার্কিন চাপে পড়বেন মোদি?]
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, জি-২০ সম্মেলন শুরুর আগেই প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। বিশ্লেষকদের মতে, সদ্য সমাপ্ত ব্রিকস ও আসিয়ান-ইন্ডিয়া সামিটের মতো এই মহাসম্মেলনেও ভারতের নিশানায় থাকতে পারে চিন (China)। এ বিষয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে একজোট হবে ওয়াশিংটন। ফলে দুই মিত্রদেশ মিলে চিনকে কী বার্তা দেয়, তার দিকে নজর রয়েছে গোটা বিশ্বের।
[আরও পড়ুন: দিল্লি সফরে চাণক্যপুরী বঙ্গভবনে থাকবেন মমতা, সেখানেই উঠতে পারেন রাজ্যপালও]
এরই মাঝে নতুন ম্যাপ প্রকাশ করে নয়াদিল্লির সঙ্গে ফের সংঘাত তীব্র করেছে বেজিং। চিনের নয়া মানচিত্রের বিরোধিতা করে আসরে নেমেছে আমেরিকাও। ফলে মহা সম্মেলনের আগেই কী কী বিষয়ে জিনপিং প্রশাসনকে আক্রমণ শানানো যায় তা ঠিক করে নিতে পারেন মোদি ও বাইডেন। অন্যদিকে, শনি ও রবিবারের বহু চর্চিত সম্মেলনের আগে ভারতের সঙ্গে আলোচনা হয়ে যাবে বাংলাদেশের সঙ্গেও। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের আলোচনার প্রধান বিষয়ই হতে চলেছে তিস্তার জলবণ্টন চুক্তি।