সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখ থেকে শুরু করে অরুণাচল প্রদেশ। চিনের আগ্রাসন ক্রমে বেড়েই চলেছে। গালওয়ান সংঘর্ষের পরও শিক্ষা হয়নি কমিউনিস্ট দেশটির। খবর, সংঘর্ষের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু প্যাংগং লেকে সেতু তৈরি করছে চিন। এহেন পরিস্থিতিতে লালফৌজকে কড়া বার্তা দিয়ে প্যাংগংয়ে শক্তিপ্রদর্শন করল ভারতীয় সেনাবাহিনী।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, লাদাখে লাগাতার শক্তি বাড়াচ্ছে ভারত। গত মঙ্গলবার প্যাংগং লেকে ‘ল্যান্ডিং ক্রাফট অ্যাসল্ট’ অর্থাৎ জওয়ান বহনে তৈরি বিশেষ জলযানের ক্ষমতা প্রদর্শন করে ফৌজ। এমন একএকটি বোট ৩৫ জন জওয়ান বহনে সক্ষম। দ্রুতগামী এই জলযানগুলিতে মুহূর্তের মধ্যে প্যাংগং লেকে চিনা ফৌজকে ঘিরে ফেলতে পারবে ভারতের সেনাবাহিনী। বলে রাখা ভাল, পূর্ব লাদাখের ভৌগলিক বৈশিষ্ট্যর কথা মাথায় রেখেই সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে এই যানটি তৈরি করা হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, প্যাংগং লেকের পাশে কৌশলগত উঁচু জায়গাগুলি দোহকল করতে চাইছে লালফৌজ। তারা এই কাজে সক্ষম হলে বেকায়দায় পড়বে ভারতের সেনা।
[আরও পড়ুন: ‘বিলকিস বানোর ধর্ষকরা ব্রাহ্মণ, সুসংস্কারী’, গোধরার বিজেপি বিধায়কের মন্তব্যে বিতর্ক তুঙ্গে]
এদিকে, ভারতের উদ্বেগ বাড়িয়ে প্যাংগং হ্রদে (Pangong Tso lake) দু’টি সেতু বানাচ্ছে চিন। যাতে প্রয়োজনে ভারত-চিন সীমান্ত এলাকায় দ্রুত সেনা পাঠাতে পারে বেজিং (Beijing)। উপগ্রহ চিত্রে লালফৌজের এই কার্যকলাপ ধরা পড়ার পর থেকেই উদ্বেগ ছড়িয়েছে প্রতিরক্ষা মহলে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে একটি সেতু তৈরির কাজ শেষ করেছে বেজিং। সেই কাজ শেষ হতে না হতেই ফের আরও একটি সেতু তৈরির কাজ শুরু করেছে তারা। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এরপর ভারত কী পদক্ষেপ করে সেটার দিকে তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় হামলা চালায় চিনা ফৌজ। পালটা জবাব দেন ভারতীয় জওয়ানরাও। তারপর থেকেই সেখানে কার্যত যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়। বলে রাখা ভাল, প্যাংগং লেক বরাবর ফিঙ্গার ১ থেকে ফিঙ্গার ৮ পর্যন্ত বরাবর টহল দিয়ে এসেছে ভারতীয় ফৌজ। তবে চিনের দাবি, ফিঙ্গার ৮ থেকে ফিঙ্গার ৪ পর্যন্ত তাদের এলাকা। ফলে সংঘাত বাড়ছে দুই বাহিনীর মধ্যে। সেনা সূত্রে খবর, গালওয়ানের পর থেকেই প্যাংগং লেকের পাশে প্রচুর সেনা মোতায়েন করেছে লালফৌজ।