সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের প্রথম কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) ‘জেলাভিত্তিক সুশাসনের মাপকাঠি’ তথা ‘ডিস্ট্রিক্ট গুড গভর্ন্যান্স ইনডেক্স’ (DGGI) প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। একইসঙ্গে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে শীঘ্রই জম্মু-কাশ্মীরকে পুনরায় রাজ্য হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে খুব শিগগিরই ভোট হবে বলেও ইঙ্গিত অমিত শাহর।
গত বছর জুলাইয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ‘বেহতার-ই-হুকুমত-কাশ্মীর আয়েলামিয়া’ নামে একটি কর্মসূচি শুরু করে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস ও জনগণের অভিযোগ জানানোর দপ্তর। এই কর্মসূচিতেই তৈরি হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের ২০ জেলার সুশাসনের মাপকাঠিটি। জম্মুতে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে অমিত শাহ বলেন, “আসন পুনর্বিন্যাসের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। শীঘ্রই এখানে নির্বাচনও হবে। লোকসভায় আমি বলেছি, জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি ঠিক হলেই তাকে রাজ্যের সম্মান ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’’ ভূস্বর্গে কেন্দ্রীয় সরকার প্রচুর উন্নয়নমূলক কাজ করেছে বলে উল্লেখ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: ৭২ ঘণ্টা পর খোঁজ মিলল অরুণাচলের ‘অপহৃত’ কিশোরের, হদিশ পেয়েছে চিনা সেনাই]
পাশাপাশি অমিত শাহ (Amit Shah)দাবি করেন, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে জম্মু ও কাশ্মীর গঠন হওয়ার পর এখানে উন্নয়ন শুরু হয়েছে। অনেক বিনিয়োগ হচ্ছে। বহু পর্যটক আসছেন। বেকাররা চাকরি পাচ্ছেন। কাজের সুযোগ বাড়ছে। সরকারি প্রকল্প থেকে মানুষ সরাসরি সুবিধা পাচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত ছিলেন উপ-রাজ্যপাল মনোজ সিনহা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডা. জিতেন্দ্র সিং।
[আরও পড়ুন: নেতাজির জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন প্রধানমন্ত্রীর, সম্মান জানাতে গিয়ে মোদি স্তুতি শাহের]
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে জম্মু-কাশ্মীরে শেষবার বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election)হয়েছিল। ৮৭ আসনের বিধানসভায় ২৮টি আসন জিতে ক্ষমতায় আসে পিডিপি। বিজেপির সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রী হন পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি (Mehbooba Mufti)। ২০১৮ সালে ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা ভেঙে দেয় কেন্দ্র। একইসঙ্গে পৃথক রাজ্যের মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। তারপর থেকে নতুন করে নির্বাচনের ভাবনাচিন্তা চলছিল। এবার শিগগিরই তা হবে বলে ইঙ্গিত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে। তবে এই মুহূর্তে যে উপত্যকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়, তা স্পষ্ট অমিত শাহর বক্তব্যেই।