সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনের মাঝে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। হেঁটে মহারাষ্ট্র থেকে মধ্যপ্রদেশের বাড়িতে ফেরার চেষ্টা করেছিলেন শ্রমিকদের একটি দল। দীর্ঘ পথ হাঁটার পর ক্লান্তির জেরে ভোরের দিকে রেলট্র্যাকের উপরেই তাঁরা ঘুমিয়ে পড়েন। সেসময়ই ঘটে গেল বিপত্তি। ঔরঙ্গাবাদের কাছে একটি মালগাড়ির ধাক্কায় অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হল ঘটনাস্থলে। জখম অন্তত ৫ জন। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে যান রেল আধিকারিকরা। দেওয়া হয়েছে তদন্তের নির্দেশ।
ঘড়িতে সময় তখন ভোর ৫.১৫। ঔরঙ্গাবাদের জালনা রেলওয়ে ট্র্যাক দিয়ে আসছিল একটি মালবাহী ট্রেন। কাড়মড গ্রামের কাছে গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে ট্র্যাকের উপরে ঘুমন্ত মানুষজনকে সজোরে ধাক্কা দেয় মালগাড়িটি। তাতেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। ছিন্নভিন্ন হয়ে দেহগুলি ছড়িয়েছিটিয়ে পড়ে। সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে রেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “ওঁরা রেলট্র্যাক ধরে হাঁটছিলেন। ক্লান্ত হয়ে ট্র্যাকের উপরেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় তাঁদের মৃত্যু হয়েছে।” সাউথ-সেন্ট্রাল রেলওয়ে সূত্রে খবর, এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার হাত থেকে কোনওক্রমে বেঁচে গিয়েছেন পাঁচজন। আহত শ্রমিকদের চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে ঔরঙ্গাবাদের সরকারি হাসপাতালে। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে বলে খবর।
[আরও পড়ুন: পরিযায়ী শ্রমিক সেজে বাড়ি ফিরতে গিয়ে ধৃত তিন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া]
করোনা সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে চলছে তৃতীয় দফার লকডাউন। দেশজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়েছেন হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক। হাজার টানাপোড়েনের পর তাঁদের বাড়ি ফেরানোর জন্য অবশেষে কেন্দ্রের তরফে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ‘শ্রমিক স্পেশ্যাল’ ট্রেন দিয়ে তাঁদের ফেরানো হচ্ছে। মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদ থেকে এই শ্রমিক দলটিকেও ট্রেনে ফেরানোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু কবে, কখন, কোন ট্রেনে ফেরার সুযোগ পাবেন তাঁরা, সেই অনিশ্চয়তা থেকে আর ধৈর্য রাখতে পারেননি তাঁরা। তাই রেলট্র্যাক ধরে হেঁটেই বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেছিলেন। নিহতির নিষ্ঠুর পরিহাস বাড়ি পৌঁছনোর স্বপ্ন ছুঁতে পারার আগে মাঝরাস্তাতেই প্রাণ হারাতে হল ১৫ জনকে।
[আরও পড়ুন: তামিলনাড়ুর সরকারি কারখানায় বিস্ফোরণ, দুর্ঘটনায় আহত ৮ কর্মী]
দুর্ঘটনার খবরে তীব্র মর্মাহত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি নিহতদের পরিজনদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
The post মহারাষ্ট্রে রেলট্র্যাকে ঘুমন্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের পিষে দিল মালবাহী ট্রেন, মৃত ১৬ appeared first on Sangbad Pratidin.
