সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন (BGBS) সফল করতে নয়াদিল্লিতে ৪০টিরও বেশি দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে আলোচনা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান অর্থ উপদেষ্টা অমিত মিত্র। গতবারের শিল্প সম্মেলনে যে পরিমাণ বিনিয়োগের মউ সাক্ষরিত হয়েছিল, তাঁর ৫০ শতাংশের সামান্য কিছু বেশি বাস্তবায়িত হয়েছে। এবার সেই লক্ষ্যমাত্রা পেরিয়ে যেতে চায় রাজ্য।
রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) প্রধান অর্থ উপদেষ্টা অমিত মিত্র আশাবাদী যে গতবারের থেকে এবারের শিল্প সম্মেলন অনেক ব্যাপক এবং সফল হবে। আগের থেকে বিনিয়োগের পরিমাণও বাড়বে। গত বছরের শিল্প সম্মেলনে অংশ নিয়েছিল ৪২টি দেশ। যাদের মধ্যে অংশীদার দেশ ছিল ১৪টি। এদিন ৪০টিরও বেশি দেশের কূটনীতিকদের বৈঠকের পর অমিত মিত্র বলেন, “গতবার যারা অংশ নিয়েছিল, তাদের প্রায় সবার সঙ্গে আজ আলোচনা হল। যা চলেছে দু’ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে। মনে রাখবেন, কূটনীতিকরা সাধারণত অল্প কথায় কাজ মিটিয়ে ফেলেন। তাঁরা যখন এত লম্বা সময় দিয়েছেন, তাতে আমরা আশাবাদী, এবার আরও বেশি সংখ্যক দেশ সম্মেলনে অংশ নেবে। সম্মেলন সফল হবে।”
[আরও পড়ুন: ‘ডায়বেটিস বড় রোগ না, স্ত্রীকে খোরপোশ দিতেই হবে’, স্বামীকে নির্দেশ কর্ণাটক হাই কোর্টের]
২১ ও ২২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এবারের বিশ্ব বঙ্গ শিল্প সম্মেলন। গতবারের শিল্প সম্মেলনে ৩.১৪ লক্ষ কোটি টাকার মউ স্বাক্ষর হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত মোট যত পরিমাণ মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে, তার ৫০.০১ শতাংশ অর্থের লগ্নি ইতিমধ্যেই বাস্তবায়িত হয়ে গিয়েছে। গত বছরের পরিমাণকে পিছনে ফেলে দিতে আত্মবিশ্বাসী বাংলা সরকার ইতিমধ্যেই সম্মেলন নিয়ে কোমর কষে ময়দানে নেমেছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে সামনে রেখে দেউচা-পাচামি সহ রাজ্যের অন্যান্য খনি থেকে পাওয়া কয়লা-শেল গ্যাস, অশোকনগর-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে ওএনজিসি-র (ONGC) গ্যাস সংগ্রহ, গেইলের পাইপলাইন, সিটি গ্যাস, নিউটাউনের সিলিকন ভ্যালি হাব, দেশের সিমেন্ট সেন্টার হাব, লেদার হাব, চিংড়ির রফতানি থেকে শুরু করে মানব চুল রফতানি। লগ্নি টানতে মূলত এই বিষয়গুলির উপরই জোর দিতে চলেছে রাজ্য সরকার।
[আরও পড়ুন: ৩০ বছর ধরেই রাখি পরান মোদিকে, এবারও ‘দাদা’র সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান ‘পাকিস্তানি বোন’]
মঙ্গলবারের আলোচনাসভায় উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রকের অন্যতম ওএসডি সি রাজশেখর। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ১০টি, পূর্ব ইউরোপের ৮টি, সৌদি আরব, কলম্বিয়া, উজবেকিস্তান, কাজাঘিস্তান, এশিয়ান গোষ্ঠীর প্রায় সব দেশ, কেনিয়া-সহ আফ্রিকার বেশ কিছু দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন মঙ্গলবার।