সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) জন্মস্থান ভাদনগর এবং তাঁর লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীর মধ্যে কি কোনও আদিম যোগসূত্র রয়েছে? ২ হাজার বছর আগে কি এই দুটি জায়গার মধ্যে কোনও যোগসূত্র ছিল? প্রধানমন্ত্রীর কর্মস্থান এবং জন্মস্থানের মধ্যে এই যোগসূত্র এবার সন্ধান করা শুরু করল বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়।
সরকারি খরচে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় (BHU) একটি কমিটি গড়েছে। যার কাজ হল এই দুই জায়গার মধ্যে যদি কোনও মিল থেকে থাকে সেটা খুঁজে বের করা। সেই কমিটিতে রয়েছেন আর্কিওলজিস্ট বিদুলা জয়সওয়াল, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মুকুল রাজ মেহেতা, প্রফেসর এবং ইতিহাসবিদ অতুল ত্রিপাঠি এবং লাল জি। আগামী দিনে আরও সদস্য এই কমিটিতে যোগ করা হতে পারে।
[আরও পড়ুন: তৃণমূল কংগ্রেসের টুইটার অ্যাকাউন্টে হ্যাকার হানা, বদলে গেল নাম]
কিন্তু কীসের ভিত্তিতে হঠাত এই যোগসূত্র সন্ধান? BHU কর্তৃপক্ষ বলছে, “ভাদনগর নিয়ে অনেক গবেষণার পর জানা গিয়েছে এই এলাকা বৌদ্ধধর্মের কেন্দ্র ছিল। তাই কাশী এবং ভাদনগরের যোগসূত্র উড়িয়ে দেওয়া যায় না। বহু বিদেশি লেখকের লেখাতেও ভাদনগরের উল্লেখ আছে। প্রায় দেড় হাজার থেকে দু’হাজার বছর আগে সারনাথ থেকে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা মথুরা, সাঁচি হয়ে ভাদনগর (Vadnagar) যেত ধর্মশিক্ষা দিতে। স্বাভাবিকভাবেই এই দুই জায়গার সঙ্গে ভাদনগরের মিল থাকার সম্ভাবনা আছে।” প্রফেসর মুকুল রাজ মেহেতা বলছেন, সারনাথ আর ভাদনগরের মধ্যে খুব মিল আছে। তবে আমরা শুধু তথ্য এবং প্রমাণের উপর নির্ভর করে গবেষণা করব।
[আরও পড়ুন: দেশের স্বীকৃতিই নেই, তবু রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে হাজির ‘কৈলাসে’র প্রতিনিধি, বিঁধলেন ভারতকে]
তবে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় যতই ভাদনগর এবং কাশীর (Varanasi) মধ্যে যোগসূত্র খোঁজার পিছনে যুক্তি দেখাক, নিন্দুকেরা এর নেপথ্যে রাজনীতিই দেখছে। অনেকেই বলছে, এটা আসলে ঘুরিয়ে মোদির জন্মস্থানকে গৌরবান্বিত করার চেষ্টা।