সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অতিরিক্ত অ্যানাস্থেসিয়া দিয়ে স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ উঠল ভুবনেশ্বরের এক যুবকের বিরুদ্ধে। আর এই কাজে তাঁকে সাহায্য করেছেন দুই প্রেমিকা! দুজনের সঙ্গেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল অভিযুক্তের। এই ঘটনায় তিনজনকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জারি রয়েছে তদন্ত।
পিটিআই সূত্রে খবর, অভিযুক্ত যুবকের নাম প্রদ্যুম্ন কুমার। পেশায় তিনি ফার্মাসিস্ট। তাঁর দুই প্রেমিকা রোজি পাত্র ও এজিন্টা ভুইয়াঁ। দুজনেই ওষুধের দোকানে কাজ করতেন। তাই অ্যানাস্থেসিয়ার ইঞ্জেকশন জোগাড় করতে তাঁদের খুব একটা অসুবিধা হয়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাতে স্ত্রী শুভশ্রীকে নিয়ে রোজির বাড়িতে যান প্রদ্যুম্ন। সেখানে অপেক্ষা করছিলেন এজিন্টাও। অভিযোগ, এর পরই পরিকল্পনা অনুযায়ী শুভশ্রীকে চেপে ধরে ঘাড়ে ও কোমরে অ্যানাস্থেসিয়ার ইঞ্জেকশন দিয়ে দেন তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে বেহুঁশ হয়ে যান শুভশ্রী। তার পর সকলে মিলে তাঁকে ভুবনেশ্বরের একটি হাসপাতাল নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তবে এখানেই শেষ নেই। স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন বলে নিজেই থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন প্রদ্যুম্ন। সেই মতো পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে। দেহ পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। আর সেখানেই সবটা ধরা পড়ে যায়। ময়নাতদন্তের সময় চিকিৎসকেরা দেখেন মৃতার ঘাড় ও কোমরে কালশিটে দাগ। পরীক্ষার পর জানা যায়, ওই জায়গাগুলোয় অ্যানাস্থেসিয়া করা হয়েছিল। যার ওভারডোজের কারণেই মৃত্যু ঘটে। খবর পেয়েই প্রদ্যুম্ন ও তাঁর দুই প্রেমিকাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, চার বছর আগে প্রেম করেই বিয়ে করেছিলেন প্রদ্যুম্ন ও শুভশ্রী। কিন্তু বিয়ের পরই অন্য মূর্তি ধারণ করেন প্রদ্যুম্ন। দিনের পর দিন স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন প্রদ্যুম্ন। এর মাঝেই দুই তরুণীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। যা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি চরমে উঠেছিল। গত ছয়মাস ধরে বাপের বাড়ি থাকছিলেন শুভশ্রী। কিন্তু ঘটনার দিন দুয়েক আগেই তাঁকে বুঝিয়ে বাড়ি নিয়ে আসেন প্রদ্যুম্ন। পুলিশ জানিয়েছে, বিশেষ দল গঠন করে ঘটনার তদন্ত চলছে।