সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যত দিন যাচ্ছে সংসদে সাসপেন্ড হওয়া বিরোধী সাংসদের সঙ্গে তত বাড়ছে। বৃহস্পতিবার লোকসভার আরও ৩ কংগ্রেস সাংসদকে সাসপেন্ড করলেন স্পিকার ওম বিড়লা (Om Birla)। ফলে চলতি অধিবেশনে কেবলমাত্র লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত সাংসদের সংখ্যা সেঞ্চুরি ছুঁয়ে ফেলল। এদিন লোকসভা থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন ডিকে সুরেশ, নকুল নাথ এবং দীপক বেইজ।
সোম ও মঙ্গলবার একসঙ্গে বিশাল সংখ্যক সাংসদ সাসপেন্ড হয়েছেন সংসদের দুই কক্ষ থেকে। তৃণমূল, কংগ্রেস-সহ সমস্ত বিরোধী দলেরই অধিকাংশ সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। মঙ্গলবারই সেঞ্চুরি পেরিয়ে গিয়েছিল বহিষ্কৃত সাংসদদের সংখ্যা। সেই তালিকায় বুধবার যোগ হয়েছে দুজনের নাম। আরও ৩ জনের নাম জুড়ল বৃহস্পতিবার। সব মিলিয়ে চলতি অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড হলেন ১৪৭ জন বিরোধী সাংসদ।
[আরও পড়ুন: বর্ষবরণে আতঙ্ক কোভিডের নয়া প্রজাতিতে, অ্যাক্টিভ কেস ২৬৬৯, উপসর্গ কী?]
এদিকে এদিন কার্যত বিরোধী শূন্য লোকসভায় আরও এক গুরুত্বপূর্ণ আইন পাশ করিয়ে নিয়েছে মোদি সরকার। লোকসভায় পাশ হয়ে গিয়েছে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল। রাজ্যসভায় আগেই বিলটি পাশ হয়েছে। বৃহস্পতিবার কার্যত দুই-তৃতীয়াংশ বিরোধী সাসপেন্ড ছিলেন। তাঁদের অনুপস্থিতিতেই ওই বিতর্কিত বিল পাশ করিয়ে নিয়েছে সরকার। বিলটিতে এবার রাষ্ট্রপতি ছাড়পত্র দিলেই, সেটি আইনে পরিণত হবে। ঠিক এভাবেই বুধবার পাশ হয়ে গিয়েছে ন্যায় সংহিতা আইন এবং টেলিকম বিলও।
[আরও পড়ুন: দিল্লি পুলিশ নয়, সংসদের নিরাপত্তায় CISF, বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের]
গত মার্চে এক ঐতিহাসিক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) জানায়, দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের ক্ষমতা একচ্ছত্রভাবে মন্ত্রিসভার হাতে থাকবে না। এদের নিয়োগ করবে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা এবং প্রধান বিচারপতির যৌথ কমিটি। এই কমিটির সুপারিশ মেনেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ করবেন। কিন্তু কেন্দ্রের এই নয়া আইন সুপ্রিম কোর্টের সেই রায় কার্যত ‘অকেজো’ করে দিল। প্রস্তাবিত মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (সংশোধনী) বিল অনুযায়ী, এবার থেকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির কোনও ভূমিকা থাকবে না। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ করবেন প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা এবং প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশ করা মন্ত্রিসভার এক সদস্য। অর্থাৎ ৩ সদস্যের কমিটির দুই সদস্যই হবেন সরকারি প্রতিনিধি।