সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। সেই মহিলাকে মধ্যরাতে ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো এবং ফোন করার অভিযোগ উঠল এক পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে। বম্বে হাই কোর্ট মঙ্গলবার ডেপুটি পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন বিষয়টি দেখার জন্য। বিচারপতিদের বেঞ্চের প্রশ্ন, ''কী করে আপনি একজন মহিলাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাতে পারেন, তাও যিনি সেই মামলার অভিযোগকারিণী যেটির আপনি তদন্তকারী অফিসার!''
অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার অবশ্য দাবি করছেন, তিনি ভুল করে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু উচ্চ আদালতের কড়া পর্যবেক্ষণ, এমন আচরণ একেবারেই গ্রহণীয় নয়। বিচারপতি রেবতী মোহিতে দেরে ও বিচারপতি নীলা গোখলের বেঞ্চের মন্তব্য, ''একজন পুলিশ অফিসার একজন অভিযোগকারিণীকে এভাবে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাতে পারেন না। আমরা এটা বরদাস্ত করব না।''
পরে আদালতকে জানানো হয়, ওই সাব ইনস্পেক্টর সদ্যই চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। এটাই তাঁর প্রথম পোস্টিং। সেক্ষেত্রে তাঁর ভবিষ্যৎ আচরণ কেমন হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আদালত। সেই সঙ্গেই বিচারপতিরা জানতে চান, একজন পুলিশ আধিকারিকের সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে থাকার অনুমতি রয়েছে কিনা। এক্ষেত্রে জানিয়ে দেওয়া হয়, তেমন অনুমতি কোনও পুলিশ আধিকারিককেই দেওয়া হয় না। এরপর হাই কোর্ট ডেপুটি পুলিশ কমিশনারকে জানিয়ে দেয়, তিনি যেন পরবর্তী শুনানি যেটি ভার্চুয়ালি হওয়ার কথা সেটিতে উপস্থিত থাকেন। সেদিনই ওই পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে। সেই সঙ্গে আদালতের ভর্ৎসনা, ''কোনও অনুতাপই নেই ওঁর। কোনও অনুতাপ নেই।''
উল্লেখ্য, এদিন ওই অভিযোগকারিণীর দায়ের করা মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই উঠে আসে ওই পুলিশ আধিকারিকের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানোর প্রসঙ্গ।