নন্দিতা দাস ও ক্ষিরোদ ভট্টাচার্য: আবার কি ভয়ংকর কালো দিন ফিরবে! নতুন করে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে করোনা (COVID)। চিন, জাপান, দক্ষিণ করোয়া, আমেরিকা, ব্রাজিলের মতো দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই অবস্থায় গতকাল প্রাথমিক সতর্কতা জারি করেছিল কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রক। আজ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যের (Mansukh Mandaviya) নেতৃত্বে বৈঠকের পর রাজ্যগুলিকে অন্যতম বার্তা, উৎসবের মরসুমে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। বেলাগাম হলে বিপদ বাড়তে পারে। নতুন করে মাস্ক পরা-সহ সাধারণ কোভিড বিধিনিষেধ মানার কথা বলা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। এইসঙ্গে টিককরণ ও বিশেষ জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। তবে গোটা দেশের মতো এরাজ্যেও এখনই ভয়ের কিছু নেই, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এক বিবৃতি, “কোভিড এখনও যায়নি। সমস্ত ক্ষেত্রে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। (গোটা দেশে) কড়া নজারদারি চালানো হচ্ছে। দেশবাসীকে অনুরোধ করছি, কোভিডের ভ্যাকসিন নিন।” পাশাপাশি বর্তমান পরিস্থিতিতে ত্রি-ফোল্ড মাস্ক ব্যবহার করতেও বলা হচ্ছে। লাতিন আমেরিকা ও এশিয়ার কোরিয়া, চিন, জাপানের মতো দেশ থেকে যাঁরা আসছেন তাঁদের বিশেষ ভাবে উপর নজর রাখতে বলা হচ্ছে। রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন সামান্য। এই অবস্থায় প্রত্যেক আক্রান্তের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে পাঠাতে হবে। বিশেষভাবে অতি সংক্রামক সার্স-কোভ-২ ভারিয়েন্ট সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে। দ্রুত চিহ্নিতকরণ ও অন্যান্য ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ১০০ দিনের কাজে রাজ্যের প্রাপ্য সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি! অভিষেকের প্রশ্নের উত্তরে জানাল কেন্দ্র]
এই বিষয়ে আইসিএমআর-এর (ICMR) প্রোটোকল ম্যানেজম্যান্ট বিশেষজ্ঞ ডাঃ সমিরণ পণ্ডা বলেন, “আগামী তিন মাস সতর্ক থাকতে হবে। ভাইরাসের চরিত্র বারবার বদল হয়। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে জানতে হবে তা কতটা সক্রিয়। রাজ্যের যে এলাকাগুলিতে ১০ জন বা তার বেশি আক্রান্ত, সেখানে আলাদা করে নজর রাখতে হবে। তবে এখনই আতঙ্কের কিছু নেই। উল্লেখ্য, বর্তমানে গোটা দেশেই তলানিতে করোনা সংক্রমণ। গত সপ্তাহে দিনে সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল গড়ে ১৫৮। তবে চিন, জাপান, কোরিয়া, আমেরিকা, ব্রাজিলের মতো দেশগুলির কারণে গত ছয় সপ্তাহে গোটা পৃথিবীতে গড় আক্রান্তের সংখ্যা বেশ খানিকটা বেড়েছে। বর্তমানে দিনে ৫.৯ লক্ষ মানুষে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৪ জন সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৮০ বছর বয়সি ১ ব্যক্তির। ওই রোগীর কোমরবিডিটি ছিল। আইসিএমআর-এর পক্ষে ডাঃ সমিরণ পণ্ডা জানান, প্রয়োজনে নির্দেশিকা জারি করবে আইসিএমআর।
[আরও পড়ুন: পপুলার ফ্রন্টের আল কায়দা যোগ, NIA রিপোর্টে প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য]
এদিকে কেন্দ্র করোনা নিয়ে নতুন করে সতর্কতা জারি করতেই মুখ খুলেছেন সেরাম ইন্সটিউটের (Serum Institute of India) সিইও আদর পুনাওয়ালা (Adar Poonawalla)। তিনি বলেন, “আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। খুব ভাল ভ্যাকসিনেশন হয়েছে। কেন্দ্রের নির্দেশিকা মেনে চলুন।”