সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অসম ও অরুণাচল প্রদেশ থেকে ‘আংশিকভাবে’ AFSPA প্রত্যাহার করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রের খবর, বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে যে ওই রাজ্যগুলিতে এখন পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। এছাড়াও জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়গুলিও যথেষ্ট সুরক্ষিত। তাই ওই রাজ্যগুলি থেকে আংশিকভাবে AFSPA তুলে নেওয়া হবে। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলি থেকে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে।
[গণপিটুনি এড়াতে গায়ে বোরখা চাপালেন মুসলিম ব্যক্তি]
উত্তর-পূর্বের রাজ্য ও কাশ্মীরে প্রবল বিতর্কের বিষয় AFSPA (আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ারস অ্যাক্ট)। এর প্রতিবাদে প্রায় দু’দশক ধরে অনশনে ছিলেন ইরম শর্মিলা। বহুদিন থেকেই সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ওই অ্যাক্ট-এর অপব্যবহারের অভিযোগ আসছে বিভিন্ন মহল থেকে। ধর্ষণ, ‘এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং’-এর মতো অভিযোগও আনা হয়েছে জওয়ানদের বিরুদ্ধে। তবে সন্ত্রাস জর্জরিত উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে জনগণের নিরাপত্তার জন্য সেনার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে অসম-বাংলাদেশ সীমান্ত ও অরুণাচল-চিন সীমান্তে জঙ্গিদের কার্যকলাপ রুখতে সেনার উপস্থিতি কাম্য বলেই অনেকে মনে করছেন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মে মাসেই এক বিজ্ঞপ্তির দ্বারা অসমকে ‘অশান্ত’ এলাকা বলে ঘোষণা করে কেন্দ্র। বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠী, বিশেষ করে ULFA (ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ আসাম) ও NDFB-র (ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অফ বোড়োল্যান্ড) ক্রমবর্ধমান কার্যকলাপের জন্যই ওই ঘোষণা করা হয়েছিল। এছাড়াও, অরুণাচলের তিনটি জেলা-টিরাপ, চাংলাং ও লংডিংকেও ‘অশান্ত’ তকমা দেয় কেন্দ্র। ওই এলাকাগুলিতে AFSPA-র দ্বারা সেনাবাহিনীকে পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এই বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে যেকোনও সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করতে পারে সেনা। প্রয়োজনে গুলি চালানোর নির্দেশও দেওয়া রয়েছে জওয়ানদের।
[ইজরায়েল সফরে বিশ্বের সবচেয়ে সুরক্ষিত হোটেলে রাত কাটাবেন মোদি]
প্রসঙ্গত, গতবছর থেকেই অসমে NDFB ও ULFA জঙ্গিগোষ্ঠীর কার্যকলাপ অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়। যার জেরে রাজ্য জুড়ে শুরু করা হয় ‘অপারেশন অলআউট’। তারপর থেকে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে পরিস্থিতি। সেনার প্রবল হামলায় কোমর ভেঙেছে জঙ্গিদের তাই AFSPA প্রত্যাহারের কথা ভাবছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে রাজ্যের এক বিশালসংখ্যক মানুষ।
The post অসম, অরুণাচল থেকে আংশিক ভাবে প্রত্যাহার হবে AFSPA! appeared first on Sangbad Pratidin.