সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘আমি গান্ধী, সাভারকর নই, ক্ষমা চাইব না।’ রাহুল গান্ধীর এই মন্তব্য নিয়েও এবার বিতর্ক। বিনায়ক দামোদর সাভারকর অর্থাৎ বীর সাভারকরের নাতি এবার রাহুলকে তোপ দেগে বলে দিলেন, ক্ষমতা থাকলে প্রমাণ করুন যে বীর সাভারকর ইংরেজদের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন। উলটে আপনিই সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) দু’বার ক্ষমা চেয়েছেন। সাভারকরের নাতি জানিয়ে দিয়েছেন, তিনিও রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবেন।
সাংসদ পদ বাতিল হওয়ার পর AICC সদর দপ্তরে এক সাংবাদিক বৈঠকে সাভারকরকে নিয়ে মন্তব্যটি করেছিলেন রাহুল। প্রাক্তন কংগ্রেস (Congress) সভাপতির সেই মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। সাভারকরের প্রতি ‘অপমানজনক’ মন্তব্যের জন্য মহারাষ্ট্রের বিজেপি সাংসদরা ইতিমধ্যেই সংসদে রাহুলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। এমনকী কংগ্রেসের জোটসঙ্গী উদ্ধব ঠাকরেও (Uddhav Thackaray) কংগ্রেস নেতাকে এই ধরনের মন্তব্য থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্কবার্তা দিয়ে দিয়েছেন। এবার খোদ সাভারকরের পরিবারের সদস্যরাও রাহুলকে কাঠগড়ায় তুলছেন।
[আরও পড়ুন: বাবা হতে তান্ত্রিকের নির্দেশেই নরবলি! তিলজলায় শিশু খুন নিয়ে বিস্ফোরক দাবি ধৃতের]
বীর সাভারকরের (Veer Savarkar) নাতি রণজিৎ সাভারকর সরাসরি প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিকে চ্যালেঞ্জ করে বলে দিয়েছেন, রাহুল বলছেন উনি ক্ষমা চাইবেন না কারণ উনি সাভারকর নন। আমি ওকে চ্যালেঞ্জ করছি এমন কোনও নথি এনে দেখান, যাতে প্রমাণ হয় সাভারকর ক্ষমা চেয়েছিলেন। বরং তিনি নিজেই সুপ্রিম কোর্টে একাধিকবার ক্ষমা চেয়েছেন। রাহুল যেটা করছেন সেটা শিশুসুলভ। দেশপ্রেমীদের নাম নিয়ে রাজনীতি করাটা দুঃখজনক। আমি রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব।”
[আরও পড়ুন: চোট সারিয়ে দুরন্ত পারফরম্যান্সের পুরস্কার, বিসিসিআইয়ের চুক্তিতে বিশাল উন্নতি জাদেজার]
সাভারকরকে রাহুল যে এই প্রথম তোপ দাগলেন তা নয়। তবে এত প্রবলভাবে সম্ভবত এই প্রথমবার সাভারকরের (Vinayak Damodar Savarkar) ক্ষমা চাওয়া নিয়ে সরব হলেন তিনি। কংগ্রেসের বরাবরের অভিযোগ, বিনায়ক সাভারকর স্বাধীনতা সংগ্রাম চলাকালীন জেল থেকে মুক্তি পেতে একাধিকবার ব্রিটিশ সরকারের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন। বস্তুত সাভারকর যে ইংরেজ সরকারকে চিঠি লিখে জেল থেকে মুক্তির জন্য আবেদন করেছিলেন সেটা প্রমাণিত সত্য। জেল থেকে মুক্তি পেলে ইংরেজ সরকারকে সাহায্য করার বার্তাও তাঁর চিঠিতে লেখা ছিল। তিনি নিজেও কখনও সেটা অস্বীকার করেননি। তবে বিজেপি বরাবরই বলে আসছে, সাভারকরের ওই চিঠি মোটেই ক্ষমাপ্রার্থনা ছিল না। তিনি বন্দি হিসাবে নিজের অধিকারটুকু চেয়েছিলেন শুধু।