সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বের উচ্চতম যুদ্ধক্ষেত্র। এবার সেই সিয়াচেনেও (Siachen) থাবা বসাচ্ছে চিন! উপগ্রহচিত্রে দেখা যাচ্ছে, সিয়াচেন থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে সড়ক বানাচ্ছে লাল ফৌজ। ফলে আবারও প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে ভারতের নিরাপত্তা। প্রাক্তন সেনা আধিকারিকের মতে, এই সড়ক নির্মানের তীব্র প্রতিবাদ করা উচিত ভারতের।
সম্প্রতি একটি উপগ্রহচিত্র প্রকাশ করেছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের শাকসগাম এলাকায় সড়ক বানাচ্ছে চিন (China)। উল্লেখ্য, ১৯৬৩ সালে ওই এলাকাটি চিনের হাতে তুলে দিয়েছিল পাকিস্তান। তার পর থেকে সেখানে একের পর এক পরিকাঠামো গড়ে তুলেছে বেজিং। এবার ওই এলাকায় পৌঁছনো যাবে চিনের জাতীয় সড়ক ধরেই। পার্বত্য এলাকাতেই সম্প্রসারিত হবে জাতীয় সড়ক। জানা গিয়েছে, গত বছরের জুন ও আগস্ট মাসে তোলা হয়েছিল ওই উপগ্রহচিত্রগুলো।
[আরও পড়ুন: EVM রায় নিয়ে মুখ খুললেন মোদি, বিহারে মুসলিমদের সংরক্ষণ নিয়ে তোপ কংগ্রেসকে]
প্রসঙ্গত, মার্চ মাসের পর দুবার সিয়াচেনে গিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তার পরেই সিয়াচেনের 'কান ঘেঁষে' তৈরি হওয়া চিনা সড়কের হদিশ মিলেছে। তার পরেই মুখ খুলেছেন লেফটেন্যান্ট রাকেশ শর্মা। ভারতীয় সেনার ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি বাহিনীর সদস্য ছিলেন তিনি। পূর্ব লাদাখ, কার্গিল এবং সিয়াচেন হিমবাহ এলাকায় মোতায়েন থাকে এই বাহিনী। রাকেশের কথায়, "এইভাবে সড়ক নির্মাণ একেবারেই বেআইনি। ভারতের উচিত চিনের কাছে কূটনৈতিকভাবে প্রতিবাদ জানানো।
কেন সিয়াচেনের গা ঘেঁষে সড়ক বানাচ্ছে চিন? বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ইউরেনিয়াম-সহ নানা খনিজ পদার্থ পাকিস্তান থেকে চিনে পৌঁছনোর জন্যই এই সড়ক তৈরি হচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এই সড়ক ধরে যাতায়াত করবে পাকিস্তান-চিনের সেনাও। তার জেরেই প্রশ্নের মুখে পড়বে ভারতের নিরাপত্তা। যদিও কয়েকদিন আগেই সিয়াচেনে দাঁড়িয়ে 'শত্রু' দেশকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজনাথ।