সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উৎসবের মরশুমের একটি পর্ব মিটেছে। আসন্ন দীপাবলি, ভাইফোঁটা। ফের জনসমাগম হবে নানা জায়গায়। এসবের মাঝে কাঁটা দেশের করোনা পরিস্থিতি। আগেকার স্বস্তি কাটিয়ে পরপর তিনদিনই আড়াই হাজারের বেশি দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ। বাড়ছে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যাও। শুক্রবার দেশের কোভিড (COVID-19) বুলেটিনে নজর রাখলেই বৃহস্পতিবারের তথ্য-পরিসংখ্যানের সঙ্গে তফাৎ চোখে পড়বে।
শুক্রবার দেশের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের তরফে দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা ভাইরাসে (Coronavirus)আক্রান্ত হয়েছেন ২৬৭৮ জন। যা বৃহস্পতিবার ছিল প্রায় ২৮০০। এই মুহূর্তে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ২৬,৫৮৩, যা আগের দিন আরও খানিকটা কম ছিল। আর এই ঊর্ধ্বমুখী অ্যাকটিভ কেস চিন্তায় রাখছে স্বাস্থ্যমহলকে।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৫৯৪ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৭৬ শতাংশ। বৃহস্পতিবারও এই হার ছিল একই। দেশের মোট অ্য়াকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা মোট আক্রান্তের ০.০৬ শতাংশ। দৈনিক পজিটিভিটি রেট ১.১৩ শতাংশ, সাপ্তাহিক হিসেবে এই হার ১.০৭ শতাংশ।
মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশজুড়ে উৎসবের মরশুমেও ভাটা পড়েনি করোনা টিকাকরণে (Corona vaccination)। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৫ লক্ষ ৯৪ হাজার ডোজ দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সবমিলিয়ে ২১৯ কোটি ২১ লক্ষের বেশি টিকার ডোজ পেয়েছেন দেশবাসী। চলছে বুস্টার ও প্রিকশন ডোজদানের পালা। তারই মধ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ন্যাজাল ভ্যাকসিন কোভিডের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে কার্যকরী নয় বলে জানিয়ে দিয়েছিল সংস্থাই।
[আরও পডুন: ফিরল তিন বছর আগের দুঃসহ স্মৃতি, মাঝরাতে ফের বউবাজারে একাধিক বাড়িতে ফাটল]
এদিকে, চিনে (China) নতুন করে আতঙ্ক তৈরি করছে করোনার দুটি সাব ভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭ ও বিএ.৫.১.৭। অতিদ্রুত এই ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই এবিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। নতুন করে করোনা বৃদ্ধি চিনের রাজনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।