সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একেই বলে গোদের উপর বিষফোড়া! প্রথমে কোটি কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির পর এবার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটির বিরুদ্ধে উঠল তথ্য ফাঁসের মতো গুরুতর অভিযোগ। অভিযোগ, ব্যাংকের প্রায় ১০,০০০ গ্রাহকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছে একটি ওয়েবসাইটে। ফাঁস হয়েছে গ্রাহকদের নাম, কার্ডের বৈধতা, আধার নম্বর, মোবাইল নম্বর, এমনকী কার্ডের সিভিভি নম্বরও। ২০১৮-র ২৯ জানুয়ারিতে ব্যাংকের ইস্যু করা কার্ডের সব তথ্যও ফাঁস হয়ে গিয়েছে।
[ফাঁকা আসনে কে যেন বসে! ভূতের ভয়ে কাঁটা বিধায়করা]
একদিন বা দু’দিন নয়, গত তিন মাস ধরেই ওই ওয়েবসাইটে পিএনবি গ্রাহকদের তথ্য রীতিমতো টাকার বিনিময়ে বিক্রি হচ্ছে। এমনটাই মনে করছেন ইন্টারনেট ব্যাংকিং পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞরা। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এতদিন জানতেনই না এই ঘটনার কথা। অবশেষে তাদের টনক নড়েছে। বুধবার রাতে সিঙ্গাপুরের নিরাপত্তা সংস্থা ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে এই কথা জানানোর পর এবার তড়িঘড়ি আসরে নেমেছেন ব্যাংকটির ইন্টারনেট শাখার প্রযুক্তিবিদরা। তাঁদের মুখ্য আধিকারিক রাহুল শশী বলছেন, ‘ইন্টারনেটেও কালোবাজারি চলে। সেখানেও চোরামার্কেট রয়েছে। কিছু ওয়েবসাইটে গ্রাহকদের তথ্য কেনাবেচা চলে। গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে এরা ধরা দেয় না। আমাদের ক্রলাররা এমনই কিছুর খোঁজ পেয়েছেন। গোটা বিষয়টি নিয়ে আমাদের টেকনিক্যাল টিম কাজ করছে। গ্রাহকদের কোনও তথ্য বেহাত হবে না।’
তবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের এই আশ্বাসে সন্তুষ্ট নন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটির গ্রাহকরা। এমনিতেই এ দেশে ব্যাংকের ইতিহাসে এর আগে কখনও সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকার জালিয়াতি হয়নি। তার উপর এখন আবার এভাবে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের তথ্য ফাঁসের খবরে ঘুম ছুটেছে অনেকেরই। কেউ কেউ তো ইতিমধ্যেই এই ব্যাংক থেকে সব আমানত তুলে নিচ্ছেন। বাংলাতেও ছবিটা একই। তাই পিএনবির মুখ্য তথ্য আধিকারিক টিডি ভিরওয়ানির আশ্বাসেও স্বস্তিতে নেই পিএনবির গ্রাহকরা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এই তথ্য ফাঁসের ঘটনার তদন্তে নেমেছে। পিএনবি কর্তৃপক্ষ এই তদন্তে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। আপাতত ১০ হাজার গ্রাহকের কার্ড সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ্যে বিক্রি হলেও পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর জানা যাবে, ঠিক কতজন গ্রাহকের তথ্য বেআইনিভাবে ফাঁস হয়েছে।
[সাত ব্যাংকে ৩৬৯৫ কোটি টাকার ঋণখেলাপি, গ্রেপ্তার রোটোম্যাক কর্তা]
বৃহস্পতিবারও পলাতক ধনকুবের নীরব মোদির অ্যাকাউন্ট থেকে ৩০ কোটি টাকা ফ্রিজ করেছে ইডি। নীরবের সংস্থা থেকে সিজ করা হয়েছে ১৭৬টি স্টিলের আলমারি ও আমদানি করা ঘড়ি। হংকংয়ের একটি ব্যাংককে চিঠি পাঠিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক আর্থিক বেনিযমের শিকড়ের খোঁজ করছে। সেই সঙ্গে দেশের বড় বড় ব্যাংকগুলিকেও আনুষ্ঠানিকভাবে সতর্ক থাকতে বলল মন্ত্রক। এদিকে আজ নীরবের সংস্থা গীতাঞ্জলি জেমস-এর কর্মীরা মুম্বইতে গণপদত্যাগ করেন। আন্ধেরিতে (ইস্ট) কর্মরত এক কর্মী বলেন, ‘আমাদের কেউ চাকরি ছাড়তে বলেননি, আমরাই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলাম।’
The post আরও বেকায়দায় পিএনবি, ফাঁস ১০ হাজার গ্রাহকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের তথ্য appeared first on Sangbad Pratidin.