সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ২০ বছর ধরে তিনি বিক্রি করতেন ছোলে বাটুরে। সকলেই তাঁকে চিনত গুরদয়াল নামে। কে জানত, আসলে তিনি সিপাহি লাল। একজন নির্মম খুনি। আত্মগোপনে ছদ্মবেশ ধারণ করে রয়েছেন! আর তাঁকে ধরলেন যিনি, সেই পুলিশ অফিসারও আমওয়ালা সেজেই বোকা বানালেন অভিযুক্তকে। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মইনপুরীর রামলীলা ময়দানে চাঞ্চল্য ছড়াল এমন ঘটনায়।
ঘটনা সত্যিই রুপোলি পর্দাকে হার মানানোর মতো। দুই দশক আগে ২০০৪ সালের ৩১ অক্টোবর দিল্লির শাকারপুরে বাসিন্দা রমেশচাঁদ গুপ্তা নামের এক ব্যবসায়ী নিখোঁজ হন। স্যান্ট্রো গাড়িতে করে কাজে বেরনোর পর থেকেই আর কোনও খোঁজ মেলেনি তাঁর। তাঁর ভাই জগদীশ কুমার পুলিশে নিখোঁজ ডায়রি করেন। পরে রমেশের গাড়ি উদ্ধার হলেও তাঁর কোনও সন্ধান পায়নি পুলিশ। পরে পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে মুকেশ বৎস নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশি জেরায় ভেঙে পড়ে তিনি কবুল করে নেন রমেশকে খুন করেছেন তিনি। তবে তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও চারজন। প্রথমে অপহরণ করা হয়েছিল ওই ব্যবসায়ীকে। পরে তাঁকে খুনও করেন তাঁরা। বাকি অভিযুক্তদের মধ্যে শরিফ খান ও কমলেশ গ্রেপ্তা হলেও সিপাহি লাল ও রাজেশ নামে একজনের কোনও সন্ধান মেলেনি। এঁরা সকলেই মুকেশের সবজির দোকানে কাজ করতেন।
[আরও পড়ুন: বর-কনের প্রকাশ্য চুম্বনে আপত্তি, রণক্ষেত্র যোগীরাজ্যের বিয়েবাড়ি, হাসপাতালে দুপক্ষের ৬ জন]
এর পর কেটে গিয়েছে দুই দশক। আচমকাই খোঁজ মেলে সিপাহি লালের মতো দেখতে একজন রামলীলা ময়দানে ছোলে-বাটুরে বিক্রি করছেন। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে হাজির হন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর সোনু নাইন। আমওয়ালা সেজেই তিনি লুকিয়ে লক্ষ করতে রাখেন সিপাহি লালকে। তার পরই তিনি সোজা জেরা করতে থাকেন তাঁকে। পরে এই নিয়ে বলার সময় পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে নিজেকে গুরদয়াল বলে চালাতে চাইলেও পরে ভেঙে পড়ে নিজের অপরাধ কবুল করেন অভিযুক্ত। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে গ্রেপ্তার করেন তদন্তকারী অফিসার।