বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: শুক্রবার সন্ধেয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এবং বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার দীর্ঘ বৈঠকের পর থেকেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। সেই জল্পনা আরও গতি পেল রবিবার। রাজধানীর অলিতে-গলিতে জল্পনা, রবিবারই মন্ত্রিসভার রদবদলের কথা ঘোষণা করতে পারে সরকার। এ বিষয়ে পাকাপোক্ত কোনও তথ্য না পাওয়া গেলেও মন্ত্রিসভায় কারা জায়গা পাবেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।
বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর বিজেপি কর্মীদের মনোবল বাড়ানোর জন্য এরাজ্য থেকে একাধিক সাংসদকে মন্ত্রী করতে পারে বিজেপি (BJP)। এই তালিকায় সবার প্রথম যার নাম উঠে আসছে তিনি হলেন নিশীথ প্রামাণিক (Nishith Pramanik)। গত লোকসভা নির্বাচন থেকেই উত্তরবঙ্গে ভাল ফল করে আসছে বিজেপি। এবারের বিধানসভাতেও নিশীথের জেলা কোচবিহার-সহ গোটা উত্তরবঙ্গে রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের তুলনায় গেরুয়া শিবির ভাল ফল করেছে। তাই নিশীথ প্রমাণিককে এর পুরস্কার দেওয়া হতে পারে। একইভাবে বিধানসভা ভোটে উত্তর ২৪ পরগনা-সহ গোটা রাজ্যে খারাপ ফল করলেও মতুয়া অধ্যুষিত বেশ কয়েকটি আসন ধরে রাখতে পেরেছে বিজেপি। ২০২৪ লোকসভার আগেও মতুয়া ভোট বিজেপির জন্য জরুরি। সেক্ষেত্রে মতুয়াদের প্রতিনিধি হিসেবে শান্তনু ঠাকুরকে মন্ত্রী করা হতে পারে। এছাড়াও বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার, হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নাম শোনা যাচ্ছে মন্ত্রী পদের দাবিদার হিসেবে।
[আরও পড়ুন: GST বৈঠকেও বাংলার কণ্ঠরোধ! বলতে দেওয়া হয়নি অমিত মিত্রকে, অভিযোগ ওড়াল কেন্দ্র]
তবে যে ক’টা নাম নিয়ে জল্পনা চলছে, তার মধ্যে সবচেয়ে চমকপ্রদ হলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। শোনা যাচ্ছে, দিলীপবাবুকেও এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করার কথা ভাবছে দল। আগামী নভেম্বরেই রাজ্য সভাপতি হিসেবে মেয়াদ শেষ হচ্ছে দিলীপের। বিজেপির নিয়ম অনুযায়ী কোনও ব্যক্তিই দু’বারের বেশি রাজ্য সভাপতি পদে থাকতে পারেন না। তাছাড়া, রাজ্যের বিধানসভা ভোটে খারাপ ফলের পর দলেরই অনেক নেতা দিলীপের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সেকারণেই রাজ্যের সংগঠন থেকে তাঁকে সরানো হতে পারে। আবার এই দিলীপের নেতৃত্বেই বিজেপি উনিশের লোকসভায় ১৮টি আসন জিতেছিল। সেদিকেও খেয়াল রাখছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সম্ভবত সেকারণেই, দিলীপবাবুকে পুরোপুরি সাইডলাইন না করে, তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা হতে পারে। তবে, এসবই জল্পনার স্তরে। আসলে মুকুল রায়ের (Mukul Roy) আকস্মিক তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনে বিজেপির অনেক অঙ্কই ভেস্তে গিয়েছে। তাই আপাতত অনেক হিসেব কষেই এগোতে চাইছে গেরুয়া শিবির।