সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতিরক্ষা মহলে উদ্বেগ উসকে কাশ্মীর সীমান্তে অস্ত্রবৃষ্টি করল ড্রোন (Drone)। তবে সীমান্তের ওপার থেকে আসা উড়ন্ত যানটির গতিবিধি ধরা পড়ে যায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের চোখে। ড্রোনটির পিছু ধাওয়া করে বেশকিছু হাতিয়ার উদ্ধার করে জেহাদিদের ষড়যন্ত্র ভেস্তে দেন জওয়ানরা।
[আরও পড়ুন: কার্যকর করা যাবে না ফিউচার গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বিপাকে Reliance]
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, শুক্রবার ভোরে সাম্বা সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখার পাশে দেখা মেলে এক সন্দেহজনক ড্রোনের। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই অদৃশ্য হয়ে যায় যানটি। সঙ্গে সঙ্গে ওই এলাকায় তল্লাশি শুরু করে নিরাপত্তারক্ষীরা। বেশ কিছুক্ষণ তল্লাশি চালানোর পর অত্যাধুনিক পিস্তল, কার্তুজ ও বোমা তৈরি সরঞ্জাম উদ্ধার করে জওয়ানরা। সূত্রের খবর, জেহাদিদের জন্য হাতিয়ারগুলি নিয়ে এসেছিল পাকিস্তানি ড্রোনটি। তবে সীমান্তে সতর্ক প্রহরা থাকায় সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে। উল্লেখ্য, গত জুন মাসে জম্মু এয়ারফোর্স স্টেশনে বোমা ফেলে পালায় দু’টি পাকিস্তানি (Pakistan) ড্রোন। সীমান্তের ওপার থেকে এসে হামলা চলিয়েছিল যানগুলি বলে খবর। তারপর থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরে ড্রোনের আনাগোনা প্রায়ই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাদের মধ্যে কয়েকটি উদ্ধারও করা হয়েছে। দেখা গিয়েছে তাতে আইইডি বিস্ফোরক রয়েছে। সামনেই স্বাধীনতা দিবস। তার আগে ড্রোনের সাহায্যে বড়সড় হামলার ছক কষতে পারে পাকিস্তান। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের তরফে সমস্ত নিরাপত্তা বাহিনীকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত সতর্ক থাকার জন্য। জম্মু ও কাশ্মীরের ডিজিপি দিলবাগ সিং এব্যাপারে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ হওয়ার পর থেকেই সেখানে সন্ত্রাস ছড়ানোর মরিয়া চেষ্টা করছে পাকিস্তান। ভারতীয় সেনার ভয়ে সরাসরি সংঘাতে না গিয়ে জঙ্গিদের মদতে ছায়াযুদ্ধ চালাচ্ছে পড়শি দেশ পাকিস্তান (Pakistan)। এহেন পরিস্থিতিতে ভারতও সন্ত্রাস দমনে সেনা অভিযান বাড়িয়ে দিয়েছে। গত জুন মাসেই কাশ্মীরে লস্করের আরও এক কমান্ডার নাদিম আবরার-সহ দুই জঙ্গিকে নিকেশ করে সেনাবাহিনী। একইসঙ্গে প্রতিরক্ষা পরিকাঠামো আরও মজবুত করে এবার ১০টি ‘অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম’ বা ড্রোন বিধ্বংসী হাতিয়ার কিনতে চলেছে ভারতীয় বায়ুসেনা।