সংবাদ প্রতিদিন ডিডিটাল ডেস্ক: অবিশ্বাস্য! অপূর্ব! না কি আতঙ্ক? শ্রীমন্দিরকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে এক ঈগল। ঠোঁট থেকে পতপতিয়ে উড়ছে পতাকা। কয়েকবার জগন্নাথ মন্দিরের চুড়োর চারপাশে ঘুরপাকের পর একবার সে উড়ে গেল পশ্চিম দরজার দিকে। তারপর সাঁ করে চলে গেল সমুদ্রের দিকে। সোশাল মিডিয়ার দৌলতে পতাকামুখী ঈগলের পুরীর মন্দির প্রদক্ষিণের ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল।

ভিডিও ঘিরেই ভক্তদের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছে। কেউ এই ঘটনাকে অশনি সংকেত বলে মনে করছেন। কেউ আবার এই ঘটনায় আধ্যাত্মিক তাৎপর্য খুঁজে পেয়েছেন। তাঁদের কথায়, জগন্নাথের আশীর্বাদধন্য স্বয়ং গড়ুর রূপে ওই ঈগল ‘পতিতপাবন’ পতাকার মতো দেখতে কাপড়ের টুকরো নিয়ে উড়ে গিয়েছে সমুদ্রের বুকে। কারও বক্তব্য, প্রভু জগন্নাথই পাঠিয়েছেন ঈগলটিকে।
জগন্নাথ মন্দিরের চুড়োয় নিয়মিত সূর্যাস্তের আগে অংসখ্য পতাকা বাঁধা হয়। সম্ভবত তেমনই এক পতিতপাবন পতাকা মন্দিরের চুড়ো থেকে কোনওভাবে খুলে নিয়ে ঈগলটি মন্দির প্রদক্ষিণ করতে শুরু করেছিল।
গত শনিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ পুরীর মন্দিরের বাইরে জগন্নাথ দর্শনের অপেক্ষায় থাকা পুণ্যার্থীরা চাক্ষুষ করেন এই নজিরবিহীন দৃশ্য। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, একটা ঝড়ের পরেই দেখা যায়, একটি ঈগল পতাকা ঠোঁটে করে মন্দিরের চারদিকে উড়ছে। তবে তার মুখে থাকা কাপড়টি পতিতপাবন পতাকা কি না তা স্পষ্ট করে কেউ বলতে পারেননি। তবে দীর্ঘ কাপড় টুকরোটি ঈগলের ঠোঁট থেকে যেভাবে পতপত করে উড়ছিল, তাতে সেটি মন্দিরের পতাকা বলেই দাবি ভক্তদের একাংশের।
তাঁদের বক্তব্য, “নিশ্চয়ই ভালো কিছু হতে চলেছে। হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন বইয়ে পাখির উপস্থিতিকে ভালো হিসাবেই ব্যাখ্যা করা হয়।” অনেকেই ঈগলকে গড়ুর পাখির সঙ্গে তুলনা করেছেন। তাঁদের মতে, জগন্নাথ প্রভু হল ভগবান বিষ্ণুর রূপ। আর পুরাণ মতে, বিষ্ণুর বাহন ছিল গড়ুর। তবে পুরীর জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ এই ঘটনা প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেনি।