সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী যা বলবেন, তাই হবে। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রিত্বের ডামাডোল আরও উসকে দিয়ে সাফ এই কথা জানিয়ে দিলেন একনাথ শিণ্ডে। উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনে একপেশে জয়ের পরও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন নিয়ে কার্যত উথালপাতাল পরিস্থিতি মহাজুটির অন্দরে। বিজেপি দেবেন্দ্র ফড়ণবিসকে মুখ্যমন্ত্রী করার ব্যাপারে একপ্রকার মনস্থির করে ফেললেও জোটসঙ্গী একনাথ শিণ্ডের শিব সেনার অনড় মনোভাবে ঘোষণা করা যাচ্ছে না।
টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যেই বুধবার মহারাষ্ট্রের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছি যে আমি কোনও বাধা হয়ে দাঁড়াব না। তিনি যা বলবেন আমি সেটাই মেনে নেব।" সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শিণ্ডে আরও বলেন, তিনি লোভী নন। কোনও পদের জন্য তিনি লোভ করেন না। মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে জলঘোলার কারণে তিনি মোটেই দুঃখিত নন বলেই জানান শিণ্ডে।
উল্লেখ্য, সোমবারই ‘বিহার মডেলের’ প্রসঙ্গ টেনে শিন্ডে সেনার মুখপাত্র নরেশ মাশকে বলেন, ‘‘বিহারে যেমন বিজেপি আসনসংখ্যার দিকে না-তাকিয়ে নীতীশ কুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিল, তেমনই এখানেও শিন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হওয়া উচিত।’’ বুধবার শিণ্ডে শিবিরের আর এক বিধায়ক সঞ্জয় শিরসাত স্পষ্ট করে দিয়েছেন, “একনাথ শিণ্ডেকে সামনে রেখেই বিধানসভা নির্বাচনে লড়া হয়েছিল। তাই তিনিই মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার। শিণ্ডে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করবেন না।”
তবে একই সঙ্গে শিব সেনার শিণ্ডে শিবির স্পষ্ট করে দিয়েছে, মহাজুটি ছাড়ার প্রশ্নই নেই। দলের মুখপাত্র নরেশ মাশকে-ই বুধবার বলেছেন, “আমরা উদ্ধব ঠাকরের মতো নই। মুখ্যমন্ত্রী পদ না পেলেও জোট ছাড়ব না। মহাজুটির অন্য সদস্যরা ঐক্যমতের ভিত্তিতে যা সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই হবে।” আপাতত এই আলোচনার দিকেই তাকিয়ে বিজেপি। সূত্রের খবর, শীঘ্রই দিল্লিতে তিন দলের নেতারা বৈঠকে বসবেন। তার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।